আজ
|| ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবলের সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ আগস্ট, ২০২৫
মীর রোকনুজ্জামান, কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবলের সংকটে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো রোগী। ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কলারোয়া উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের বসবাস। চিকিৎসার জন্য অসহায় ও গরীব মানুষের ভরসাস্থল হলো সরকারি এ হাসপাতাল।
হাসপাতাল সুত্র থেকে জানা যায় কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের মোট পোষ্ট ২১ টি। বর্তমানে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ জন , আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্যাপ্ত) ১ জন, মেডিকেল অফিসার ২ জন,ডেন্টাল সার্জন ১ জন, মোট ৫ জন। এর মধ্যে ১ জন ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এ আছে। বর্তমান ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে জনবহুল এ উপজেলার হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে এ ৪ জন চিকিৎসকের। সময়- অসময় বিরামহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছে ৪ জন চিকিৎসক সাথে নার্সদের উপরও পড়েছে অতিরিক্ত চাপ।
হাসপাতালে সিজারিয়ান এর ব্যবস্থা থাকলেও বিশেষজ্ঞ গাইনি ডাক্তার না থাকায় সাধারণ গরীব গর্ভবতী মায়েদের বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার করাতে হচ্ছে, এতে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে বলে মনে করেন ভুক্তভুগীরা।
ফলে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলায় স্থাপিত উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও।
এদিকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল’টিতে ৪ জন পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছে ২ জন ।ফলে হাসপাতাল’টি পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে তাদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে। বুধবার (২৭ আগষ্ট) সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে হাসপাতালটিতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। এক বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার একাধিক বিষয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এতে তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।ফলে হাসপাতালে যথাযথ সেবা না পেয়ে অনেক রোগী চলে যান স্থানীয় বে-সরকারি ক্লিনিকে। এর ফলে সাধারণ গরীব মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে ।
‘৫ আগস্টের পর সবকিছু পরিবর্তন হলেও হাসপাতালের তেমন পরিবর্তন হয়নি। প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের জন্য চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। দূর্গম পথের কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে ডাক্তারের অভাবে তাদের সাতক্ষীরা বা খুলনাত নিয়ে যেতে হয়।’
স্থানীয় সচেতন মানুষজন বলেন এ অবস্থায় চলতে থাকলে কলারোয়ার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার ভোগান্তী চরম আকার ধারণ করবে।
এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন আমিসহ ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে সঠিক সেবা দিতে আমাদের খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডাক্তারের প্রয়োজন, ডাক্তার সংকট সমাধা না হলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জহুরুল ইসলাম কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জেলা মিটিং এ আলোচনা করেছি দ্রুত সময়ে এর সমাধান হবে বলে আশা করি।
এ বিষয় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম বলেন, সকল উপজেলায় ডাক্তার সংকটে আছে, আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে ডাক্তার সংকট কেটে যাবে বলে তিনি জানান।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.