• শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পিরোজপুরে নিজের নিরাপত্তা দাবি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন দুই দিনের সফরে পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাত অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা রাণীনগরে রেলগেটের যানজট নিরসনের দাবীতে আমজনতার মানববন্ধন বাগেরহাটের কচুয়ায় তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ শীতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম করছে ফায়ার সার্ভিস সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া উচিত : ড. কামাল হোসেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হচ্ছেন ইলন মাস্ক? রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী

লালন শাহের তিরোধান দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা

প্রভাত রিপোর্ট / ২১২ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ১৭ অক্টোবর মহান বাউল সাধক ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
শফিকুল বলেন, ‘ফকির লালন শাহ শুধু একজন গীতিকার বা সংগীতশিল্পী নন, তিনি ছিলেন একজন গভীর জীবনদর্শনের সাধক ও দার্শনিক। তাঁর গান যুগের পর যুগ বাংলার মানুষের অন্তরে সাড়া জাগিয়েছে। লালনের দর্শন সাম্য, মানবপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক হিসেবে আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।’
তিনি বলেন, লালনের সংগীত বাউল সমাজের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা গ্রাম থেকে শহর বাংলার প্রতিটি মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতীয়ভাবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে লালনচর্চা ও গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে বলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আশা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেস সচিব আরও জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করবে। লালন আমাদের গ্লোবাল কালচারাল হেরিটেজের অন্যতম সম্পদ।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যেমন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান এবং রক সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়েও আলোচনা হয়। তবে আজকের সভায় চূড়ান্তভাবে কেবল ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও