প্রভাত সংবাদদাতা,শরণখোলা : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম শায়সের আলী হাওলাদার এর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯২ সালের এই দিনে তিনি নিজ বাড়িতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। মরহুম শায়সের আলী হাওলাদার না থাকলেও তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কারনে শরণখোলা উপজেলাবাসী আজও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা হয়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব অর্জন করেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি ১৯৭৩ সালে সাউথখালী ইউনিয়ন এর তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সাউথখালী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত খ্যাতিমান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির অনুসারী ছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালে শরণখোলা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্ণাঢ্য এ খ্যাতিমান ব্যক্তির জীবনাবসান ঘটে আততায়ীর নির্মম বুলেটের আঘাতে। ১৯৭৯ সালের ২৮ শে আগস্ট তার বাড়ীতে একদল আততায়ী অস্ত্রসহ প্রবেশ করে এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও তার মৃত্যুবার্ষিকীতে শরণখোলা উপজেলা বিএনপি মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
মরহুম শায়সের আলী হাওলাদার এর পরিবারের পক্ষে তার পুত্র সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল আলম লিটন বলেন, আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেনো তার আদর্শগুলো বুকে ধারণ করে তার মতো সাউথখালী ইউনিয়নবাসীর সুখে দুঃখে সর্বদা সকলের পাশে থাকতে পারি।