• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সরকারি ৩৭ মেডিকেল কলেজের আসন পুনর্বিন্যাস, কমলো ২৮০টি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট আসিফের ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য, বিসিবিকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাইলো বাফুফে আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলেই ধোলাই করা হবে: রাশেদ খাঁন পল্টনে মঙ্গলবার হাজার নয়, লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে :ব্রিফিংয়ে ৮ দল ওজন কমাতে ওজেম্পিক গুঞ্জন: ক্ষুব্ধ তামান্না ভাটিয়া ঢাকা ও করাচির উৎসবে ‘নয়া মানুষ’ ৪০ বছরের সেরা আয়ের রেকর্ড গড়লো ‘প্রিডেটর: ব্যাডল্যান্ডস’

‘মব ভায়োলেন্স’ থামাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর

প্রভাত রিপোর্ট / ৩৪ বার
আপডেট : শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ‘সহযোগিতা’ চাওয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সম্পৃক্ত হন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আইএসপিআর জানায়, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য’ হওয়ায় সেনাবাহিনী সেখানে ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতের এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হওয়ার তথ্যও দিয়েছে সংস্থাটি।
এদিন সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৮টার দিকে কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।’
আইএসপিআর জানায়, ‘ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং নিজেদের মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতাকর্মী মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। ‘তারা সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা তারা অগ্রাহ্য করে। ফলে জননিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।’
আইএসপিআর জানায়, ‘সব ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা আনতে সব ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে প্রস্তুত রয়েছে। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায়ে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর।’


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও