• রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম

দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন টেলিকম নীতিমালা ঝুঁকিপূর্ণ

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: নতুন টেলিকম নীতিমালা কার্যকর হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট শিল্প সংগঠনগুলো। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মহাখালীর রাওয়া কমপ্লেক্সে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজিস রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন দেশীয় উদ্যোক্তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, দেশের টেলিকম খাতকে আরও শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক করতে নতুন নীতিমালায় স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও উদ্ভাবনমুখী উদ্যোগের প্রয়োজন। নীতিমালায় সব ধরনের লাইসেন্সধারীকে সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে দেশীয় উদ্যোক্তারা তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারে। এছাড়া, নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা উন্নত করা এবং খাতের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।
সভায় টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। এতে টেলিকম সেবার ব্যয় বৃদ্ধি ও দেশীয় খাতে চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, নীতিমালা তৈরিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল স্বচ্ছ নয়, প্রহসনমূলক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি।
আইওএফ পরিচালন কর্মকর্তা মুশফিক মঞ্জুর বলেন, ট্যারিফ নির্ধারণে বিটিআরসির এখনও মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরতা রয়েছে। নতুন নীতিমালায় তিনটি মূল লাইসেন্সরকে প্রধান করা হয়েছে, যেখানে আইজিডব্লিউ, নিক্স ও আইসিএক্স বাদ পড়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, নীতিমালায় আইসিপিদের কানেক্টিভিটি, আইপি ট্রাঞ্জিট, ভয়েস কল ও এসএমএস রাউটিং বিটিআরসির পূর্বানুমোদনের ওপর নির্ভরশীল করা হয়েছে। তবে এনএসপিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সেবা দিতে পারবে, যা সাংঘর্ষিক।
আইওএফ সভাপতি আসিফ রাব্বানী বলেন, নতুন নীতিমালা গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের কোনো স্থান নেই। আগের মতো ভিওআইপি সেবার মাধ্যমে ‘গডফাদারদের’ রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
এআইওবি নির্বাহী সদস্য আহমেদ উর রহমান রোমেল বলেন, ছোট অপারেটরদের প্রয়োজন ও সমস্যা উপেক্ষা করা হয়েছে। আসিএক্স না থাকলে প্রতিটি এএনএসকে আলাদা রুম করতে হবে, ৯৯০টির বেশি দ্বিপাক্ষিক লিঙ্ক প্রয়োজন হবে।
সভা শেষে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম সাংবাদিকদের জানান, দাবিগুলো মানা না হলে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন। সভায় আইএসপিবি, আইআইজিবি, আইওএফ, এআইওবিসহ দেশের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও