• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩ উদীচীর গানের মিছিলে পুলিশের বাধা: সরকারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম বাংলাদেশে সাংবাদিকদের আইনি সহায়তায় ইউনেস্কোর সাপোর্ট ডেস্ক মালয়েশিয়া থেকে জোর করে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ন্যায়বিচার-ক্ষতিপূরণ দাবি ৬ মিনিটেই শেষ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট! সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক পান্নার জামিন আপিলে বহাল আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের জলকামান-টিয়ারশেল নিক্ষেপ ফারইস্টের সাবেক পরিচালক এম এ খালেক ৩ দিনের রিমান্ডে মানুষ ও শিয়ালের বিরল বন্ধুত্ব, নাম ধরে ডাকলেই জঙ্গল থেকে ছুটে আসে ‘লালু’ রাস্তা বন্ধ করে যাতায়াত: জিএমপির সেই কমিশনার বরখাস্ত

ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্রের নতুন লাইসেন্স নয়

প্রভাত রিপোর্ট / ৩৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নতুন করে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কেনা বা লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ থাকছে না। পাশাপাশি জমা দেয়া অস্ত্রও আর ফেরত দেয়া হবে না।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা বলে নতুন লাইসেন্সের আবেদন করলেও সেগুলো অনুমোদনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছর বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত জমা পড়া ১৩ হাজার ৩৪০টি অস্ত্রের মধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে মাত্র তিন হাজার। বাকি অস্ত্র ফেরত না দিয়ে এখনো পর্যালোচনায় রাখা হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আপাতত জমা দেয়া অস্ত্র আর ফেরত দেয়া হবে না। বরং ফেরত দেওয়া অস্ত্রগুলোর কিছু নির্বাচনের আগে আবার জমা নেওয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে (২০০৯–২০২৪) দেশে ১৭ হাজার ২০০টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলার আসামিরাও লাইসেন্স পেয়েছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেয়া সব লাইসেন্স স্থগিত করে এবং সংশ্লিষ্টদের অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়। তবে তিন হাজার ৮৬০টি অস্ত্র জমা পড়েনি। এগুলো এখন অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে। সবচেয়ে বেশি লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় (৭ হাজার ৫৫১টি)।
এদিকে বৈধ অস্ত্রের মধ্যে ৭৭৮টির লাইসেন্স ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। যেসব লাইসেন্স বাতিল হয়েছে, তার বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ীদের নামে ছিল। লাইসেন্সধারীদের অনেকে বিদেশে বা আত্মগোপনে চলে গেছেন, আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন তাঁদের অস্ত্র লুট হয়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করা হবে না। আর জমা দেয়া অস্ত্র ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত থাকবে। সূত্র: ইত্তেফাক


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও