• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজধানীর সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ১ মোহাম্মদপুরে উপদেষ্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে দুই ককটেল বিস্ফোরণ অক্টোবরে প্রায় ২০৭ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুরে দুটি বাসে আগুন কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি : ট্রাইব্যুনালে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ২৯ জেলায় ডিসি পদায়ন, ২১ জনই নতুন মুখ এনআইডির বয়স সংশোধনে কঠোর হচ্ছে ইসি ইসরায়েলের গোপন কারাগার ‘রাকেফেত’, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না কখনো মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের গুলিতে একজন নিহত

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ আলাদা করল সরকার

প্রভাত রিপোর্ট / ৫৬ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। এর ফলে মামলা পরিচালনার সময় বাঁচবে এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি বহুলাংশে বাড়বে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজÍ এই তিন পর্যায়ের বিচারকদের একইসঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করতে হয়। একই বিচারকের ওপর এই দুই দায়িত্ব মামলাজট এবং বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার একটি প্রধান কারণ।
দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলার সংখ্যা দেওয়ানি মামলার তুলনায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও ফৌজদারি বিচারককে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তির গতি কমে যায় এবং মামলাজট বেড়ে যায়। এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই আদালতগুলোতে বিচারকরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটাবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি তৈরি হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তের ফলে জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আদালতেই মামলা নিষ্পত্তির পরিমাণ ও গতি আগের চেয়ে বহুলাংশে বাড়তে পারে। ফলে বিদ্যমান মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও