• শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাত্র ১২০ টাকা আবেদন ফিতে স্বপ্নের সরকারি চাকরি পেলেন পিরোজপুরের ১৫ জন তরুণ রাকসু ও চাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্যাতন-দুর্ভোগ পেরিয়ে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৬ বাংলাদেশি আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ আলাদা করল সরকার একুশে বইমেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে একমাস সংসদ ভোটের ৭০ শতাংশ উপকরণ কেনা শেষ মানবাধিকার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করলো ইইউ প্রতিনিধিদল রাজনীতিতে উত্তাপ, আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে ইসলামি সাত দল আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ আলাদা করল সরকার

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। এর ফলে মামলা পরিচালনার সময় বাঁচবে এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি বহুলাংশে বাড়বে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজÍ এই তিন পর্যায়ের বিচারকদের একইসঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করতে হয়। একই বিচারকের ওপর এই দুই দায়িত্ব মামলাজট এবং বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার একটি প্রধান কারণ।
দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলার সংখ্যা দেওয়ানি মামলার তুলনায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও ফৌজদারি বিচারককে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তির গতি কমে যায় এবং মামলাজট বেড়ে যায়। এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই আদালতগুলোতে বিচারকরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটাবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি তৈরি হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তের ফলে জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আদালতেই মামলা নিষ্পত্তির পরিমাণ ও গতি আগের চেয়ে বহুলাংশে বাড়তে পারে। ফলে বিদ্যমান মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও