আজ
|| ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
গাজায় সহায়তা আটকে রেখেছে ইসরায়েল
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
প্রভাত ডেস্ক: গাজায় শীত আসার আগেই মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনিয়ে আসছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলের বাধার কারণে আশ্রয় ও ত্রাণসামগ্রী এখন জর্ডান ও মিসরের গুদামে আটকে আছে, যা গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, শীত ঘনিয়ে আসায় গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় ও উষ্ণতার তীব্র প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কিন্তু শরণার্থীদের জন্য পাঠানো সামগ্রী ‘জর্ডান ও মিসরের ইউএনআরডব্লিউএ গুদামে আটকে আছে, ইসরায়েল প্রবেশে বাধা দিচ্ছে’। বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ‘কান’ এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রম পুনরায় চালুর অনুমতি দিতে চায় না।
গত বুধবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছিল, গাজার ফিলিস্তিনিরা পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাচ্ছে না। তাই ইসরায়েলকে অবিলম্বে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে এবং খাদ্যকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এই রায়টি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের অনুরোধের ভিত্তিতে আদালতের দেওয়া একটি আইনি পরামর্শমূলক মতামত, যা বাধ্যতামূলক নয়। এতে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে হামাসের সঙ্গে করা নতুন যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় পণ্য প্রবেশে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ। এর প্রথম ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনাটি গাজা পুনর্গঠন ও হামাসবিহীন নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের দিকেও জোর দেয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা অন্তত ৬৮ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.