আজ
|| ২৭শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ৪ঠা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি ‘উৎসাহজনক’ তবুও গতি বাড়ানো প্রয়োজন : উপদেষ্টা
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ইতিবাচক গতিতে এগোচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি উৎসাহজনক হলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনো গতি বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে স্বাস্থ্য খাতের বিদ্যমান জটিলতা কাটিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ফ্রম এভিডেন্স টু ওয়ে ফরওয়ার্ড : মিড টার্ম রিফ্লেকশনস অন হেলথ এসডিজি প্রগ্রেস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুরজাহান বেগম।
নুরজাহান বেগম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। মানুষের সুচিকিৎসা ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে সরকার ইতিমধ্যে সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসককে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে এবং একই সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যখাতের মানোন্নয়ন শুধু অবকাঠামো বা জনবল বাড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমানো, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং সেবা সহজলভ্য করার দিকেও নজর দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন বহুমুখী সমন্বয়- যেখানে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি উল্লেখ করেন, এসডিজি অর্জনের পথে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। তবে যেসব সূচকে পিছিয়ে আছি, সেখানে ডেটা-ভিত্তিক পরিকল্পনা ও ফলাফল-নির্ভর কাজ বাড়াতে হবে।
নুরজাহান বেগম বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু টার্গেট পূরণ নয়- মানুষ যেন বাস্তব সেবা পায়, সেই নিশ্চয়তা তৈরি করা। আর সেটিই হবে সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন। কর্মশালায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.