আজ
|| ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১১ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হবেন যেভাবে
প্রকাশের তারিখঃ ২ নভেম্বর, ২০২৫
স্বাস্থ্য ডেস্ক: সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হোক, সব বাবা-মা তা চান। তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি তার মগজাস্ত্রেও শান দেওয়াও প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ হয়। এই বয়স থেকেই তাই সুষম ডায়েটের দিকে যেমন নজর দিতে হবে, তেমনই শরীরচর্চায় আগ্রহ বাড়াতে হবে খুদের।
বুদ্ধিমত্তার গোড়ায় শান দিতে শিশুকে রপ্ত করাতে পারেন কয়েক ধরনের ব্যায়াম। তর মধ্যে ছোটাছুটি, দৌড়নো, সাঁতার, কয়েক রকম স্ট্রেচিং যেমন আছে, তেমনই আছে নানা ধরনের যোগব্যায়াম। রাতারাতি স্মৃতি বাড়ানোর পন্থা বাতলে দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে সন্তানের স্মৃতিশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই বুদ্ধির বিকাশ হবে খুব দ্রুত।
পেলভিক টিল্ট
প্রথমে চিত হয়ে শুতে হবে। এরপর কোমর মাটিতে রেখে এক এক করে দুই পা মাটি থেকে তুলে কোমরের সঙ্গে সমকোণে রেখে থাকতে হবে ১০ সেকেন্ড। হাত থাকবে দেহের দুই পাশে। এ বার ডান পা নামিয়ে দেহের সঙ্গে সমান্তরালে রাখতে হবে পাঁচ সেকেন্ড। ডান পা তুলে বিপরীত পায়েও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
ট্রি পোজ
ছোটদের জন্য খুবই সহজ একটি ব্যায়াম। সোজা হয়ে দাড়িয়ে নিজের দুটি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনতে হবে। তার পর শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের ঊরুর ওপর আনতে হবে। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে রেখেই মাথায় উপরে তুলতে হবে এবং ওই ভঙ্গিমায় ৩০ সেকেন্ড এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা, হরমোনের ওঠাপড়া নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মনঃসংযোগ ও একাগ্রতাও বাড়াবে এই ব্যায়াম।
বালাসন
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে শিশুরা এই যোগাসনটি করতে পারে। এটি করতে প্রথমে হাঁটু মুড়ে গোড়ালির ওপর বসতে হবে। শরীরটা এমনভাবে বেঁকাতে হবে যাতে বুক যেন উরুতে ঠেকে। মাথা থাকবে মেঝেতে। হাত দুটো সামনের দিকে মেলে দিতে হবে।
সর্বাঙ্গাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুতে হবে। পা দুটি জোড়া করে ওপরে তুলতে হবে। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমনভাবে ঠেলে তুলতে হবে, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুঁতনি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। একদিনে শরীরের ভারসাম্য আসবে না। নিয়মিত অভ্যাসে ধীরে ধীরে রপ্ত হবে এই ব্যায়াম।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.