আজ
|| ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পাকিস্তান থেকে পাখির খাদ্যের আড়ালে এল আমদানি–নিষিদ্ধ পপি বীজ
প্রকাশের তারিখঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৫
প্রভাত সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম:পাকিস্তান থেকে দুই কনটেইনারে আসার কথা ছিল পাখির খাদ্য। তবে কনটেইনার দুটি খুলে আমদানি–নিষিদ্ধ পপি বীজ পেয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কাস্টমস জানায়, চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের মেসার্স আদিব ট্রেডিং এই চালানটি আমদানি করে। আমদানি নথিতে ৩২ টন পাখির খাদ্য আমদানির তথ্য ছিল। গত ৯ অক্টোবর দুই কনটেইনারের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে নামানো হয়। এরপর খালাসের জন্য বেসরকারি ডিপো ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে নেওয়া হয়।
তবে এরই মধ্যে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটির খালাস স্থগিত করে পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী ২২ অক্টোবর কনটেইনার দুটি খোলা হয়। উদ্ধার পণ্যের নমুনা তিনটি পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা পপি বীজ সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এতে সাত টন পাখির খাবার ও ২৫ টন পপি বীজ পাওয়া যায়। বিষয়টি গোপন রাখতে পাকিস্তানে পণ্য বোঝাই করার সময় কনটেইনার দরজার মুখে পাখির খাদ্যের বস্তা রাখা হয়। ভেতরের দিকে রাখা হয় পপি বীজ।
কাস্টমস জানায়, পপি বীজ অঙ্কুরোদ্গম উপযোগী হলে তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, পপি বীজ আমদানি–নিষিদ্ধ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবির গণমাধ্যমকে জানান, জব্দ করা পপি বীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। আমদানি–নিষিদ্ধ হওয়ায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.