আজ
|| ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বিটরুটের ১০ উপকারিতা, যেভাবে বিটরুট খাওয়া কিডনির জন্য নিরাপদ
প্রকাশের তারিখঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: বিটরুটকে বলা হয় সুপারফুড। এতে আছে প্রচুর উপকারী পুষ্টি উপাদান। হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে, শরীরে শক্তি জোগায়, প্রদাহ সৃষ্টিতে বাধা দেয়। বিটরুট খাওয়া এত উপকারী হলেও বেশি খাওয়া কিডনির জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা আছে, তাঁদের খুব সতর্কতার সঙ্গে বিটরুট খাওয়া উচিত। জেনে নিন বিস্তারিত।
বিটরুট প্রাকৃতিকভাবে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট আছে। নাইট্রেট রক্তনালিকে শিথিল করে। এতে রক্তসঞ্চালন সহজ হয়। তাই বিটরুট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
ব্যায়ামের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটায়: দৌড়বিদ ও খেলোয়াড়েরা বিটরুটের জুস খান। কারণ, এটি শরীরে অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি বাড়ায়। কোনো কাজ করার সময় আপনার শরীর কতটা ভালোভাবে অক্সিজেন ব্যবহার করতে পারে, সেটাই অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি। অক্সিজেন এফিশিয়েন্সি বাড়লে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা যায়। সহজে ক্লান্তি আসে না।
যকৃতের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়: বিটরুটে বিটেইনস নামের উপাদান থাকে। এটি যকৃতকে কর্মক্ষম রাখে। শরীর থেকে সহজেই ক্ষতিকর পদার্থগুলো বেরিয়ে যায়।
হজমে সহায়তা করে: বিটরুটের আঁশ পেটের জন্য ভালো। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: বিটরুটের নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এতে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে করা সম্ভব হয়। এ কারণেই একটু বয়সীদের জন্য বিটরুট এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকারী।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়: বিটরুটে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, আয়রন ও ফোলেট। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখে। বিটরুটে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী যৌগ আছে। এসব যৌগ ফ্রি র্যাডিক্যাল প্রতিরোধ করে। ত্বক হয় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে: বিটরুটে ক্যালরি কম, কিন্ত আঁশ বেশি। তাই বিটরুট খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। এতে ওজন কমানো সহজ হয়।
প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে: বিটরুটে রয়েছে বিটালেইনস। এই যৌগ বিভিন্ন রোগ থেকে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নির্মূলে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।
ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে: নিয়মিত বিটরুট খেলে ডিটক্স, অর্থাৎ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়। শরীর থাকে ঝরঝরে ও প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ।
যেভাবে বিটরুট খাওয়া কিডনির জন্য নিরাপদ: বিটরুট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে এতে প্রচুর অক্সালেট আছে। ফলে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হতে পারে। আপনি কি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে সপ্তাহে অল্প করে দু-তিনবার বিটরুট খেতে পারেন। সেদ্ধ করে খেলে ৮০ শতাংশ অক্সালেট দূর হয়ে যায়। পালংশাক, রেউচিনি, বাদাম ইত্যাদির সঙ্গে বিটরুট খাবেন না।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.