• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভারতীয় শাড়ি–শাল চাদরসহ ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে পার্কিংয়ে থাকা বাসে আগুন ব্ল্যাকমেইল করে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা থেকে হত্যা: র‌্যাব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন চলছে গাজীপুরে বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ, স্বামীকে জখম অবস্থায় উদ্ধার পটুয়াখালীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিতে ক্যাচমেন্টে ৪০ শতাংশ কোটা বহাল ভোলায় সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা ‘অতি ফর্সা’ রঙের সেই আফিয়ার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ বাতিল হলো ‘নবান্ন উৎসব’

গাজীপুরে বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ, স্বামীকে জখম অবস্থায় উদ্ধার

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
আজ শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় নারীর লাশ ও তাঁর স্বামীকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ির সামনে ভিড় জমান -প্রভাত

প্রভাত সংবাদদাতা,গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই নারীর স্বামীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে ওই দম্পতির ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। তাঁর স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমরান হোসেন ও রহিমা বেগম তাঁদের মেয়েকে নিয়ে কোনাবাড়ীর নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ভবনের পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় মাংস বিক্রির কাজ করতেন, স্ত্রী ঘর সামলাতেন। আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা থেকে পুলিশ ভোরে তাঁদের লাশের সুরতহাল করতে যান। এ সময়ে পুলিশ অর্ধগলাকাটা ইমরান হোসেনকে হাত নাড়াচাড়া করতে দেখেন। পরে তাঁকে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই দম্পতির মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে টিকটক করে। সে জানিয়েছে, তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন এবং পরে তিনি নিজেই নিজের গলা কাটেন। এটা সে নিজের চোখেই নাকি দেখেছে। কিন্তু তার কথা আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। যার কারণে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।’
ওসি জানান, নিহত রহিমা বেগমের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্বামীকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও