আজ
|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম মজুমদার
প্রকাশের তারিখঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান পুনরুজ্জীবিত করার রায়ে আনন্দিত সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, আপিল বিভাগের আজকের রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অন্যতম আপিলকারী বদিউল আলম মজুমদার।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে আনা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ১৪ বছর আগে দেওয়া রায় পুরোটাই বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর ও এ-সংক্রান্ত রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সম্পর্কিত বিধানাবলি এই রায়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয় করা হলো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিধানাবলি ভবিষ্যৎ প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতেই কার্যকর হবে বলে রায়ে এসেছে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যে রায় দিয়েছিলেন, তার মাধ্যমে দেশের নির্বাচনীব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। যার ফলে গত তিনটি নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। আজকের রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে।
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পর আদালত রিভিউ পিটিশনটা গ্রহণ করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছেন।
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পর থেকে এ বিষয়ে লেখালেখি অব্যাহত রেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, এটা একটা অসাংবিধানিক রায় ছিল। এর পরবর্তী যে পঞ্চদশ সংশোধনী করা হয়েছে, সেটার ব্যাপারেও তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন।
বদিউল আলম মজুমদারসহ আপিলকারী চার বিশিষ্ট ব্যক্তির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আজকে রায়ে আদালত স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, খায়রুল হকের নেতৃত্বে দেওয়া রায়টিকে সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ফিরে এল। আজকের রায়টি সামগ্রিকভাবে এই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই ঐতিহাসিক।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, খায়রুল হকের নেতৃত্বে দেওয়া রায়টি ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল। রায়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.