আজ
|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক
প্রকাশের তারিখঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৫
প্রভাত রিপোর্ট: বাংলাদেশ সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তোবগে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার। বাণিজ্য বৃদ্ধি দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভুটানের সঙ্গে একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী।
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ভুটানের জন্য বরাদ্দ করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেরিং তোবগে। তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরইমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভুটান সরকার বায়োডাইভারসিটি নগর গেলেফু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তাবিত এই নগরটি ভুটানের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করে তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত ও টেকসই অবকাঠামো তৈরি করা হবে। গেলেফু নগর নির্মাণে প্রচুর নির্মাণ উপকরণ প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে তিনি এসময় নির্মাণ উপকরণগুলো বাংলাদেশ থেকে আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ থেকে ঔষধ, সিরামিক পণ্য, তৈরি পোশাক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানিতে ভুটান সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
বাংলাদেশি পর্যটকদের ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পর্যটকদের জন্য যেখানে ভুটান সরকার প্রতিরাত অবস্থানের জন্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি (এসডিএফ) একশ ডলার নির্ধারণ করেছে সেখানে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটকদের জন্য তা মাত্র পনের ডলার বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় তিনি এসুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশিদের ভুটান ভ্রমণে আগ্রহী করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভুটানের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত ভিত্তি পাবে।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এসময় তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো বেশি বাণিজ্য সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন বিশ্বমানের ঔষধ, সিরামিক পণ্য, তৈরি পোশাক, নির্মাণ উপকরণ তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য আকার বৃদ্ধির সুযোগ নেওয়ার জন্য ভুটান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ভুটানের ফরেন অ্যাফেয়ার্স ও এক্সটার্নাল ট্রেড মিনিস্টার ডি এন ধুনগায়েল, ইন্ডাস্ট্রি, কমার্স অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট মিনিস্টার লায়েন পো নামগায়েল দর্জি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.