আজ
|| ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
লিটনের ‘কঠিন পরিস্থিতি’ এখন বাস্তবেই কঠিন হয়ে উঠছে বাংলাদেশ দলের জন্য
প্রকাশের তারিখঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
প্রভাত স্পোর্টস : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড—দুটি সিরিজেই প্রথম ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন দাস একই কথা বলেছেন। বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক চান, তাঁর খেলোয়াড়েরা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক। উদ্দেশ্য, ফেব্রুয়ারির টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন পরিস্থিতিতে খেলার অভ্যাস তৈরি করা। কিন্তু সেই প্রস্তুতির কঠিনতা এখন বাস্তবেই কঠিন চেহারা নিয়েছে। বাংলাদেশ বন্দী হয়ে গেছে হারের বৃত্তে। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতেও হেরেছে লিটনের দল। ব্যবধান ৩৯ রানের হলেও ম্যাচে একবারও বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে থাকতে পারেনি।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আইরিশদের ১৮১ রান তাড়ায় নেমে লিটনের দল ১৮ রানের মধ্যেই হারায় ৪ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই ফিরেছেন ক্যাচ তুলে। পরে তাওহিদ হৃদয়ের অপরাজিত ৮৩ রানে ভর করে বাংলাদেশ হারের ব্যবধান কিছুটা কমাতে পেরেছে।
তবু বাংলাদেশ দলকে ঘিরে একটা প্রশ্ন থেকেই গেছে। এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ টানা চারটা সিরিজ জিতেছিল। পরে এশিয়া কাপেও প্রায় ফাইনালের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন বিশ্বকাপের আগে এমন ফল কি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে খারাপ সংকেতই দিচ্ছে?
তেমন অবশ্য মনে করছেন না গতকাল ম্যাচের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাওহিদ হৃদয়। তিনি বলেন, ‘দলটা ভালো ছিল। এখনো ভালোই আছে। আমরা কখনো ভাবছি না যে দল ডাউন হয়ে গেছে। আমরা টানা চারটা সিরিজ জিতেছি। একটা–দুইটা সিরিজ বা তিন–চারটা ম্যাচে এমন হতে পারে। টি-টোয়েন্টি খেলাটা মোমেন্টামের খেলা। আমরা হারছি, আবার যখন জিততে শুরু করব, তখন দেখবেন আবার (জয়) চলতে থাকবে।’
সিরিজ শুরুর আগে শামীম হোসেনের বাদ পড়া নিয়ে একরকম তুলকালাম কাণ্ডই ঘটে গেছে। ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলের পক্ষে নন অধিনায়ক লিটন দাস ও কোচ ফিল সিমন্স। যদিও নির্বাচকেরা ভেবেছেন ভিন্ন। বিশ্বকাপের আগে দল গুছিয়ে তোলা নিয়ে হৃদয়ের বক্তব্যটা এ রকম—‘দল তো ওয়েল সেট। কারণ, আপনি যদি দেখেন সব খেলোয়াড় শেষ এক বছরে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে। সবাই রোটেশন করে খেলছে। সবাই যদি সুযোগ পায়, অবশ্যই কাজে লাগাবে আর প্রত্যেক খেলোয়াড় চায় যে সুযোগটা যখনই আসুক, তারা যেন সেটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে।’
চট্টগ্রামে যে পিচে ১৮১ রান করেছে আয়ারল্যান্ড, সেখানেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল হতাশাজনক। কেন এমন হলো? দায়টা উইকেটের ওপর দিচ্ছেন না হৃদয়, ‘উইকেট অবশ্যই ভালো ছিল। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের এক্সিকিউশনটা ভালো করতে পারিনি।’ চট্টগ্রামেই সিরিজের পরের দুই ম্যাচ ২৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর।
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.