আজ
|| ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
ব্রিটেনের সঙ্গে ৪,১৬০ কোটি ডলারের বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশের তারিখঃ ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
প্রভাত ডেস্ক: বাণিজ্য ছাড় নিয়ে মতের মিল না হওয়ায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ৪ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ল্যান্ডমার্ক সমঝোতা’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই বাণিজ্যিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে এখন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বেসামরিক খাতে পরমাণু শক্তির ব্যবহার, কোয়ান্টাম প্রযুক্তিসহ সামরিক-বেসামারিক এবং কৌশলগত বিভিন্ন খাতে দুই দেশ সহযোগিতামূলক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। এই সম্পর্কের আওতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হবে এবং এমন সব উদ্যোগ নেওয়া হবে— যা সাধারণ নাগরিকদের বাস্তব জীবনকে আরও সহজ ও লাভবান করবে।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেছিলেন, এই বাণিজ্যচুক্তির মাধ্যমে ব্রিটেনের জনগণ নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বিশ্বের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।
যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কছাড় সুবিধা দিতে রাজি হয়েছিল লন্ডন, কিন্তু এতে সন্তুষ্ট ছিল না ওয়াশিংটন। মার্কিন কর্মকর্তারা চাইছিলেন, শুল্কমুক্ত ক্ষেত্রের পরিধি যেন আরও বাড়ানো হয়।
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের এই চাওয়ার সঙ্গে একমত হতে পারছিলেন না ব্রিটেনের কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন এই ইস্যুতে চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে তাদের। কিন্তু উভয়পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় অবশেষে গত সপ্তাহে এই চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময়েই দৃঢ় ছিল এবং এখনও তা আছে। আমরা দু’টি লক্ষ্য পূরণে এই চুক্তির অংশীদার হয়েছিলাম— বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং দুই দেশের সাধারণ জনগণের কাছে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাকে আরও সহজলভ্য করা। আমরা আমাদের লক্ষ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
Copyright © 2025 প্রভাত. All rights reserved.