প্রভাত রিপোর্ট: প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, জুলাই বিপ্লব সংবিধানকে উল্টে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়নি, বরং এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে শুদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) বিদায় সংবর্ধনায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতিকে বিদায় সংবর্ধনা দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। সংবর্ধনার জবাবে প্রধান বিচারপতিও বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনায় প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বক্তব্য দেন। পরে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই বিপ্লব সংবিধানকে উল্টে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়নি, বরং এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে শুদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা- এই তিনটি গুণ জনসাধারণের বিবেকের মূল প্রেরণা হয়ে ওঠে। তবু বিচার বিভাগ, সেই অনিশ্চিত মাসগুলিতে একমাত্র সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী সাংবিধানিক অঙ্গ হিসাবে, একবারে নম্র ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট বার ও অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পারস্পরিক সম্মান, অভিন্ন দায়িত্ব এবং সংবিধানের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, আমাদের বিচার বিভাগের শক্তি কোনো একটি পদে নয়, বরং সততা, ভারসাম্য ও দূরদর্শিতার সঙ্গে ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য আমাদের সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যে নিহিত।
গত বছরের ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ায় সংবিধান অনুসারে অবসরে যাচ্ছেন দেশের ২৫তম এই প্রধান বিচারপতি। আগামী ২৭ ডিসেম্বর তার কর্মজীবনের শেষ দিন। তবে ২৭ ডিসেম্বর অবকাশকালীন ছুটি থাকায় তার বিচারক জীবনের ইতি ঘটছে আজ ১৮ ডিসেম্বর।