• মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নরেন্দ্র মোদির গভীর শোক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জেপির শোক গৃহবধূ থেকে যেভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নেতা হয়ে উঠেন খালেদা জিয়া ‘পুতুল’ থেকে প্রধানমন্ত্রী: ছোটবেলায় কেমন ছিলেন খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভোটে কখনো হারেননি বাংলাদেশের রাজনৈতিক চর্চায় উজ্জ্বল চরিত্র ছিলেন খালেদা জিয়া : চরমোনাই পীর গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার বিজয় প্রমাণিত : মঈন খান এভারকেয়ারের সামনে কাঁদছেন নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চীনের প্রধানমন্ত্রীর শোক রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধি ছিলেন খালেদা জিয়া : জি এম কাদের

বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন-বিদ্যুতের যুগে চীন

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫

……………………..ফয়সল আবদুল্লাহ………………………

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে—সেটারই এক যুগান্তকারী উদাহরণ দেখাল চীন। উত্তর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পুরোপুরি বাণিজ্যিক সক্ষমতায় চালু হলো বিশ্বের প্রথম ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন গ্যাস টারবাইন। পুরোপুরি চীনের ‘জুপিটার আই’ নামের টারবাইনটি শুধু প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারে তৈরি করেছে বড় মাইলফলক।
গ্যাস টারবাইনটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেনকে বিদ্যুতে রূপান্তরের জন্য। নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সৌর বা বায়ু বিদ্যুৎ যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি উৎপাদিত হয়, তখন সেই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে হাইড্রোজেন তৈরি ও সংরক্ষণ করা যায়। পরে চাহিদা বাড়লে সেই হাইড্রোজেন আবার বিদ্যুতে রূপ নেয়—জুপিটার আই ঠিক সেই কাজটাই করছে।
প্রকল্পটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিংইয়াং গ্রুপ জানিয়েছে, এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক ইউনিটের বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা। একই ক্ষমতার প্রচলিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় বছরে প্রায় দুই লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে সক্ষম এই টারবাইন। যৌথ-চক্র (কম্বাইন্ড সাইকেল) ব্যবস্থায় এটি প্রতি ঘণ্টায় ৪৮ হাজার কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, যা প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ৫০০ পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
মিংইয়াং হাইড্রোজেন গ্যাস টারবাইন টেকনোলজির মহাব্যবস্থাপক ওয়াং ইয়ংচি জানালেন, ‘এই প্রযুক্তি নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনিয়মিত উৎপাদনের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। একই সঙ্গে এটি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
এখন চীনের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ সর্বোচ্চ সীমায় আনা এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের যে লক্ষ্য চীন নিয়েছে, জুপিটার আইয়ের মতো প্রকল্প সেই যাত্রাকে আরও বাস্তব ও দৃশ্যমান করে তুলছে।

সূত্র: সিএমজি


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও