প্রভাত রিপোর্ট: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় এক হৃদয়ছোঁয়া দৃশ্য দেখা যায় রংপুর সাতমাথার বালাটাড়ি এলাকায়। সেখানে এক কৃষক নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল পেড়ে আপ্যায়ন করেন এনসিপি নেতাদের। এই আন্তরিকতায় অভিভূত নেতাকর্মীরা বলেন, মানুষের এমন ভালোবাসাই পথচলার প্রেরণা। বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণসংযোগে অংশ নিতে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে যাত্রা করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। ‘নতুন দেশ গড়ার নতুন বন্দোবস্ত’ শ্লোগানে এনসিপির মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের যাত্রা শুরু হয় রংপুরের সাতমাথা থেকে। এই যাত্রাপথেই বিরতির ফাঁকেই দেখা গেল নাহিদ, হাসনাত, সার্জিস, পাটোয়ারীদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঠাল খেতে। এমন কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় হাসনাত আব্দুল্লাহ কাঠাল ভেঙে দিচ্ছেন, নাহিদরা খাচ্ছেন।
এ সময় ডা. তাসনিম জারা বলেন, কাঁঠালতো গরমেরই ফল। সকালে আমরা অন্য কিছু না খেয়ে এটাই নাস্তা করছি। পরোটা, ডিম-ভাজির চেয়ে এটা মাচ বেটার অলটারনেটিভ। এটা পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে, অনেক বেশি খাওয়া যাবে না। যে ফলগুলোতে ক্যালরি বেশি থাকে যেমন তাঁঠাল, আম- এগুলো কম খাওয়াই ভালো।
গণমানুষের সঙ্গে সংলাপ শেষে পদযাত্রা এগিয়ে চলে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেত্রী ডা. তাসনিম জারা এবং স্থানীয় নেতারা।
পদযাত্রায় বক্তারা বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনা এবং ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর পদযাত্রার ঘোষণা দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১ জুলাই) শহীদ আবু সাঈদের সমাধিস্থ পবিত্র ভূমি থেকে শুরু হয় এই পদযাত্রা। প্রথম দিন গাইবান্ধা হয়ে রাতে ফের রংপুরে অবস্থান শেষে বুধবার দ্বিতীয় দিনে যাত্রা করে কুড়িগ্রামের পথে।