• শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ব্যবসায়ীকে হত্যা, ২ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করলো যুবদল সব হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের বিচার দাবিতে ঢাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের মশাল মিছিল পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে হত্যা: প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যা, চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ ঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ মিটফোর্ডে শতাধিক লোকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা এসএসসিতে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৮৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলো নিবিড় আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল ক্ষমতায় যেতে নয়, বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর

সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আল কায়েদার সক্রিয় সংযোগ পায়নি জাতিসংঘ

প্রভাত রিপোর্ট / ৬ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: আল কায়েদার সঙ্গে সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সক্রিয় কোনও সংযোগ চলতি বছর খুঁজে পায়নি জাতিসংঘ। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) যাচাই করে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করেনি জাতিসংঘ। তবে চলতি মাসেই তা জনসম্মুখে আসার সম্ভাবনা আছে। এই প্রতিবেদন সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোরাল করবে।
সিরিয়ায় আল কায়েদার শাখা হিসেবে পরিচালিত আল নুসরা গোষ্ঠীই পরে এইচটিএস নামে পরিচিত হয়। তবে ২০১৬ সাল থেকে আল কায়েদার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই বলে গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা দাবি করলেও অনেক বিশ্লেষক এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন।
গত বছর ডিসেম্বরে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বেই বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারা বর্তমানে দেশটির অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক কৌশলগত পর্যায়ের সদস্য আল-শারা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের চেয়ে বেশি চরমপন্থি মতাদর্শে বিশ্বাসী। তবে আল-শারা এবং খাত্তাবকে তুলনামূলকভাবে বাস্তববাদী হিসেবে দেখা হয়।
আল-শারা ইতিমধ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক সিরিয়া গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০১৪ সাল থেকে জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে এইচটিএস। তাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও বৈশ্বিক সম্পদ জব্দের আদেশ কার্যকর রয়েছে। আল-শারা নিজেও ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকেরা নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে লিখেছেন, এইচটিএস ও এর সহযোগী গোষ্ঠীর একাধিক সদস্য, বিশেষত যারা কৌশলগত ভূমিকা বা নতুন সিরীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত, তারা আদর্শগতভাবে এখনও আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বলে কিছু সদস্যরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া নীতিতে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। জুনের শেষে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দামেস্কের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। চলতি সপ্তাহে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠন তালিকা থেকে প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা এইচটিএস ও সিরিয়া সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট সন্ত্রাসী তালিকা এবং তাদের জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের গতি ত্বরান্বিত হবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে, স্বৈরশাসনের কবল থেকে বেরিয়ে আসা দেশে অর্থনৈতিক উন্নতির জোয়ার তরুণ প্রজন্মকে চরমপন্থার প্রতি সহজে আকৃষ্ট করতে পারবে না।

ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই পদক্ষেপ মার্কিন স্বার্থেও সহায়ক হবে কারণ এতে সিরিয়ায় মার্কিন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে, ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব কমবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও