• রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন

বিছানায় উঠে বসতে পারছেন ফরিদা পারভীন

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত বিনোদন : দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন গত ৫ জুলাই থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে কিডনি রোগ ও শারীরিক নানান জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৯ জুলাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। তিনি বিছানায় উঠে বসতেও পারছেন।
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে আজ (১৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘তার (ফরিদা পারভীন) অবস্থা আগের চেয়ে বেশ ভালো। তার রুটিন ডায়ালাইসিস চলছে। সপ্তাহে তার তিনটি ডায়ালাইসিস হয়। আগের চেয়ে তার জ্ঞানের মাত্রাটাও ইমপ্রুভ করেছে। তিনি শোয়া অবস্থা থেকে বসতে পারছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (১৮ জুলাই) আমরা তাকে একটু দাঁড়ও করিয়েছিলাম। শরীরের অবস্থা যদি আর খারাপ না হয় আমরা হয়তো তাকে শিগগির বাড়িতে পাঠাতে পারবো বলে আশা করছি। তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিয়রের রোগী হওয়ার কারণে তার ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। যে কোনো সময় তার অবস্থা খারাপ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে।’ কবে ফরিদা পারভীন বাসায়ে যেতে পারবেন? জানতে চাইলে আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ’এ বিষয়ে আমরা আরও চার-পাঁচদিন পর এ সিদ্ধান্ত নেবো।’
তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন ফরিদা পারভীন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। রক্তেও ধরা পড়ে সংক্রমণ। কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে তিনদিন তাকে ডায়ালাইসিস করা হয়। এ সময় তার চেতনাও কাজ করছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিল্পীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে প্লেব্যাকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও