• শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আরও বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি: প্রেস সচিব বাংলাদেশের শুল্ক হ্রাসে ভারতের পোশাক খাতের শেয়ারে ধস ‘মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে যখন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারব’ জীবনে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন শাহরুখ খান শাহবাগে অবরোধকারীদের ওপর ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের’ হামলা, দুই পক্ষকেই পুলিশের লাঠিচার্জ ৮ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: পুলিশ এনআরবিসি ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত শুল্ক কমানোর বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা সরকারের তরফ থেকে পাইনি : সালাহউদ্দিন শুল্কের হার কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা রপ্তানি খাতের জন্য ‘সন্তোষজনক অবস্থা’

তামাকমুক্ত ও জনস্বাস্থ্য সচেতন বাংলাদেশ চাই: খন্দকার মোশাররফ

প্রভাত রিপোর্ট / ১১ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমি চাই- বাংলাদেশ একটি স্বাস্থ্যকর দেশ হোক। আমি স্বাস্থ্যসম্মত বাংলাদেশ, তামাকমুক্ত ও জনস্বাস্থ্য সচেতন বাংলাদেশ চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই সুফল অর্জন করুক। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের সিক্স সিজন্স হোটেলে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসির বাস্তবায়ন ও আর্টিকেল ৫.৩ প্রতিপালনে সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের সেমিনারের বিষয়বস্তুর সঙ্গে আমি একমত। এই যে আর্টিকেল ৫.৩ যেটি আছে, সেটি কোনোরকম পরিবর্তন করা যাবে না। এটা আত্মঘাতী হবে এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থবিরোধী হবে। হয়তো আপাতত দেখা যাবে যে, রাজস্ব বেশি আসবে। কিন্তু জাতির, জাতির স্বার্থের সবকিছুর ক্ষতি হবে। অতএব এটা কোনোক্রমেই সংশোধন করা যাবে না। এটাকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত নীতিনির্ধারণ নিশ্চিত করাই জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী তামাক কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ ও জনস্বার্থ কখনো এক হতে পারে না। সরকারকে তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে জনস্বাস্থ্যবান্ধব নীতিনির্ধারণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তামাক কোম্পানির করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম আসলে জনস্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার কৌশল মাত্র। এফসিটিসির উদ্দেশ্য হচ্ছে, তামাক ব্যবহারের হার হ্রাস করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা, তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে সরকারি নীতিমালা সুরক্ষিত রাখা।
সেমিনারে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আহ্ছানিয়া মিশনের হেল্থ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল আলম।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও