প্রভাত রিপোর্ট: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বঞ্চিত করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকল্প)। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে। এতে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করে।
পরিপত্র জারির পর থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘তাদের যে দাবি, সেই দাবির ঘটনায় উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় আমার পক্ষে তো কোনও সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়। রিটের রায় অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।’
কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পরিপত্র বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. ইস্কান্দার আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাসচিব মো. রেজাউল হক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডের কারিকুলাম অনুসরণ করে দেশের কৃষ্টি-কালচার পুরোপুরি অনুসরণ করে উন্নতমানের শিক্ষাপ্রদান করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামাজিকভাবেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক কোটির বেশি ছাত্র-ছাত্রী উন্নতমানের শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়াও ৮ লাখের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সরকার বৈষম্যমূলক পরিপত্র জারি করে কিন্ডারগার্টেন ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করেছে। এ সব কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখাসহ বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঈর্ষণীয় সাফল্যের সাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে।