প্রভাত রিপোর্ট: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলের ভোট কেন্দ্রে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে এমন খবরকে কেন্দ্র করে এই হট্টগোল হয়। এতে হলটিতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রশিবির সমর্থকরা এই ছাত্রী হল কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছেন এমন গুঞ্জন শুনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান ও তাঁর কয়েকজন অনুসারীরা কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকেন।
এ সময় তাঁদের সঙ্গে ফজিলতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও কয়েকজন সাংবাদিক ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলের ফটকে দায়িত্বে থাকা দুজন কর্মচারী বলেন, ‘একজন শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রদলের প্রার্থীরা হলে ঢোকেন। আমরা তাদের বাধা দিলেও তারা শোনেননি।’ ১৫ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা সুলতানা বলেন, ভোট দেওয়ার পর যে কালি দেওয়া হচ্ছিল সেটি দীর্ঘসময় স্থায়ী হচ্ছিলো না। তখন নতুন কালির জন্য কিছু সময় ভোট বন্ধ ছিল। এ সময় হট্টগোল শুরু হয়। এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ফজিলতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি নির্বাচন মনিটরিং টিমের সদস্য। তাঁর অনুমতির প্রয়োজন নেই। জালভোট দেওয়ার খবর শুনে তিনি হলে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কোনো প্রার্থী ছিল না।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, ‘অনুমতি বাদে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রক্টর স্যারের অনুমতি নিয়ে হলে গিয়েছিলাম। সেখানে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছিলাম। তবে কিছু শিক্ষার্থী মব তৈরি করার চেষ্টা করে।’