• শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ অপরাহ্ন

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে যেসব খাবার

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: সুন্দর, সতেজ ও স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে বিভিন্ন রাসায়নিকযুক্ত চিকিৎসা বা সাপ্লিমেন্টের পেছনে না ছুটে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা ভালো। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে খাবারই হতে পারে বড় হাতিয়ার।

যে খাবার যেভাবে খাবেন

টমেটো

টমেটোতে থাকা উপাদান ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা, সতেজ ও মসৃণ করে। সকালে খালি পেটে তাজা টমেটোর রস পান করুন। এ ছাড়া টমেটোর রস, চালের গুঁড়ি দিয়ে মুখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।

গাজর

গাজর ত্বকের কোষ মেরামত, ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল করা ও ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুটি গাজরের রস পান করুন। এ ছাড়া গাজর সেদ্ধ করে সবজির সঙ্গে বা সালাদ হিসেবে খেতে পারেন।

পেঁপে

পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত তাজা পেঁপে খাওয়ার পাশাপাশি পেঁপের পেস্ট মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

লেবু

লেবু ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। মুখে লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া সালাদ, ডাল বা যেকোনো সবজির ওপর লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।

হলুদ

হলুদ ত্বকের ব্রণ, দাগ ও নিস্তেজতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের রান্নায় হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি দুধে একটু হলুদ মিশিয়ে রাতে পান করতে পারেন, যা স্বাস্থ্য ও ত্বক উভয়ের জন্য ভালো। এ ছাড়া হলুদ ও দইয়ের ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন মুখে।

পালংশাক

পালংশাক ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। এটি সালাদ, স্যুপ, স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। রান্না করে খাওয়াও উপকার।

শসা

শসা ত্বক ঠান্ডা রাখে, ত্বকের ফোলা ভাব কমায়, ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে। নিয়মিত শসা খান এবং মুখে শসার রস ব্যবহার করুন।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু ত্বকের ব্রণ ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি নিয়মিত খেলে ত্বক হবে পরিষ্কার, সতেজ ও উজ্জ্বল। গ্রিন টি ব্যবহারের পর এটি ঠান্ডা করে চোখের নিচের অংশে লাগাতে পারেন, যা ত্বকের ফোলা ভাব ও কালো দাগ কমাতে পারে।

তরমুজ

তরমুজ সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা ও উজ্জ্বল করে। তরমুজ রস করে বা ফলের সালাদে যোগ করে খেতে পারেন। ত্বক ভালো রাখতে সব সময় হাইড্রেট থাকুন ও ত্বক পরিষ্কার রাখুন। প্রক্রিয়াজাত, ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনি ও ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত করে ফেলতে হবে। পরিহার করতে হবে ধূমপান ও অ্যালকোহল পান। অতিরিক্ত লবণ, প্যাকেটজাত ও কৃত্রিম চিনি পরিহার করুন।

লেখা: সংগৃহীত


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও