প্রভাত রিপোর্ট: রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেফ হাউজ তৈরি করে সেখানে লুকিয়ে ছিল আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী বেলচা মনিরসহ তার সহযোগী পাঁচজন।
বাকি গ্রেপ্তাররা হলেন– মনির হোসেন ওরফে গুজা মনির, রাকিব হাওলাদার ওরফে ছোট রাকিব, মো. গোলাম রব্বানি ওরফে সাহস এবং মো. আকাশ খাঁন।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত তিনটি সামুরাই, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করে ডিবি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খাঁন। এসময় ডিএমপি মিডিয়া শাখার ডিসি তালেবুর রহমান এবং তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোর্শেদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ডিবির ডিসি রাকিব খাঁন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে আদাবর-১০ নম্বর এলাকায় রিপন ওরফে নিপুকে নিজ বাসায় ঢুকে সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বেলচা মনিরের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আরজু বেগম বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ছায়া তদন্তে নাম উঠে আসে বেলচা মনির ও তার সহযোগীদের। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি রাকিব খাঁন বলেন, আদাবরে অপরাধ ঘটিয়ে তারা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে তৈরি করা সেফ হাউজে লুকিয়ে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার এলাকায় ফিরে আসে এবং আধিপত্য বিস্তারের তৎপরতা চালায়।