• সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন

জ্ঞান ছড়ানোর শপথে শিবচরে উদযাপিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রভাত রিপোর্ট / ১২৮ বার
আপডেট : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

হাসানাত আকাশ , শিবচর : “শিক্ষকতা পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি (Recasting Teaching as a Collaborative Profession)”— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মাদারীপুরের শিবচরে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫। রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এইচ এম ইবনে মিজান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রবীন্দ্রনাথ দত্ত, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষক সমাজের নেতৃবৃন্দ। র‍্যালি শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক সংক্ষিপ্ত তাৎপর্যপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, শিক্ষক সমাজ জাতির আত্মা ও বিবেক। তাঁরা শুধু পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন, বরং সমাজের চিন্তা, মূল্যবোধ ও মানবিকতার ভিত্তি স্থাপন করেন। একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক একেকজন শিক্ষার্থীর জীবনে আলোর মশাল প্রজ্বলিত করেন। তাই শিক্ষা ও উন্নয়নের প্রতিটি পদক্ষেপে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। আমরা চাই, শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষাকে আরও প্রাণবন্ত ও বাস্তবভিত্তিক করে তুলবেন।
তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এই উদ্যোগকে সফল করতে হলে মাঠপর্যায়ে প্রতিটি শিক্ষককে উদ্ভাবনী চিন্তা ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় যুক্ত হতে হবে।
পরে বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষক দিবস শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আত্মসমালোচনারও দিন। আমাদের ভাবতে হবে— আমরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের বীজ বপন করছি। শিক্ষকতা আজ শুধুমাত্র পেশা নয়, এটি একটি মিশন। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রবীন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর বক্তব্যে বলেন—
প্রাথমিক শিক্ষা হলো জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। এই পর্যায়ে একজন শিক্ষকের ছোট্ট একটি উৎসাহ, একটি হাসি কিংবা একটি প্রশংসাই শিশুদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তাই প্রতিটি শিক্ষককে মানবিক, ধৈর্যশীল ও সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষা শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়— এটি জীবনের দিকনির্দেশনা।
বক্তারা সম্মিলিতভাবে বলেন, আধুনিক ও মানবিক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষক, প্রশাসন, অভিভাবক ও সমাজের প্রত্যেকের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক সমাজের সম্মানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
উৎসবমুখর আয়োজনটি শেষ হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক অনুপ্রেরণামূলক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও