• রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

এলভিস প্রিসলির নাতনি রাইলি কিয়ো এখন ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

প্রভাত বিনোদন : এলভিস প্রেসলির উত্তরসূরি বলে কথা। তাই ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে যা–ই করতেন, রাইলি কিয়োর নাম উঠলেই ঘুরেফিরে আসত এলভিস প্রেসলির কথা। তবে ব্যক্তিগত নানা উত্থান-পতন পেরিয়ে ধীরে ধীরে নিজের পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছেন অভিনেত্রী। আসছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘জে কেলি’। নতুন সিনেমার প্রিমিয়ার উপলক্ষে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ৩৬ বছর বয়সী অভিনেত্রী।
রাইলির জন্মের আগেই তাঁর দাদা এলভিস প্রিসলি মারা যান। তবে সশরীর না থাকলেও ছোটবেলা থেকেই দাদার ছায়ায় বড় হয়েছেন তিনি। ‘এলভিসের শেফরা আমাদের জন্য রান্না করতেন—এটা খুবই বিশেষ কিছু। খাবারগুলো ছিল একদম দারুণ; শাকসবজি, ভাজা ক্যাটফিশ, ফ্রায়েড চিকেন, হাশ পাপিজ, কর্নব্রেড আর বিনস। ডেজার্টে কলার পুডিং। একেবারে বাড়ির খাবারের মতো,’ বলেন রাইলি।
তবে রাইলির জীবন সব সময় মসৃণ ছিল না। ২০২০ সালে তাঁর ছোট ভাই আত্মহত্যা করেন। ২০২৩ সালে মা লিসা মেরিও চলে যান। দাদি প্রিসিলা প্রেসলির সঙ্গে সম্পত্তি এবং গ্রেসল্যান্ডের উত্তরাধিকার নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নামতে হয়। এর মধ্যেই আবার ডেইজি জোনস অ্যান্ড দ্য সিক্স সিরিজের জন্য আসে এমি মনোনয়ন। সব মিলিয়ে অম্ল-মধুর এক সময় তাঁকে পার করতে হয়েছে।
রাইলি একাই এখন গ্রেসল্যান্ড ও এলভিস প্রিসলি এন্টারপ্রাইজের পরিবারের শেয়ারগুলোর দায়িত্বে আছেন। ১৯৭৭ সালে এলভিসের মৃত্যুর সময় এই সম্পদের মূল্য ছিল মাত্র ৫ মিলিয়ন ডলার, যা এখন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই নন, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও নাম কামিয়েছেন রাইলি। ‘এখন আমি কিছুটা স্থির হয়েছি। আসলে প্রিসলি আর কেনেডি পরিবার নিয়ে সব সময়ই আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক জীবনযাপন সহজ নয়। হয়তো মানুষের অনেক বেশি প্রত্যাশা আমাদের কাছে। মায়ের মৃত্যু আর ভাইকে হারানো আমার জন্য এক বিশাল ধাক্কা ছিল। কাজের মাধ্যমে নিজেকে সামলাতে পেরেছি। কঠিন পরিস্থিতি আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। আমি খুশি, সব সামলে নিজের পথ খুঁজে নিয়েছি,’ বলেন রাইলি।
রাইলির শৈশবও অন্য শিশুদের চেয়ে আলাদা ছিল। তাঁর ভাষ্যে স্কুলের তিনি বই, মিউজিয়াম, সিনেমা দেখেই বেশি শিখেছেন। ১৪ বছর বয়সে মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। বিখ্যাত পরিবারের মেয়ে হয়েও বারবার তাঁকে অভিনয়ে দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়েছে। ‘দ্য রানওয়েজ’, ‘ম্যাজিক মাইক’, ‘লোগান লাকি’, ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড এক্সপেরিয়েন্স’-এর মতো প্রকল্পগুলো তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
এবার তাঁকে দেখা যাবে ‘জে কেলি’তে, নোয়া বাউমবাখের ছবিটিতে জর্জ ক্লুনির বড় মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইলি। এবারের ভেনিস উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ১৪ নভেম্বর।

ভ্যানিটি ফেয়ার অবলম্বনে


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও