• সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অবিলম্বে বন্দর ইজারা দেয়ার পায়তারা বন্ধ কর – নাজমুল হক প্রধান আমরা আমাদের জায়গা থেকে শাপলা আদায় করে নেবো : সারজিস কৃষকদের বাদ রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হবে না : খাদ্য উপদেষ্টা দেশের ক্যান্সার চিকিৎসার মূল সমস্যা টাকার অভাব নয়, সিস্টেমে গলদ : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমলাতন্ত্রের সঙ্গে সংঘাত নয়, আমলাদের কাজ কমিয়ে দেয়া হবে: আমীর খসরু নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাবা যাবে না: পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যবহার করবে করাচি বন্দর, সম্মতি পাকিস্তানের চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের না দেয়ার দাবিতে সমাবেশ ৮ নভেম্বর ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮৩ ড্যাফোডিলের হামলায় সিটি ইউনিভার্সিটিতে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি : ভিসি

আশুলিয়ায় বেসরকারি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, বাসে আগুন

প্রভাত রিপোর্ট / ৮ বার
আপডেট : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বেসরকারি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে আশুলিয়ার খাগান এলাকায় বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভাড়া বাসা ‘ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেল’–এর পাশে বসে ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তাঁদের মধ্য এক শিক্ষার্থী থুতু ফেললে অসতর্কতাবশত সেখান দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়া ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী দেশি অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। একপর্যায়ে তাঁরা সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে অগ্রসর হন। উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এই উত্তেজনার মধ্যে সিটি ইউনিভার্সিটি–সংলগ্ন এলাকায় পৃথক একটি স্থানে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। পরে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঢোকেন। তাঁরা ক্যাম্পাসে দাঁড় করিয়ে রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাস, একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেন। এ ছাড়া একটি বাস, দুটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেল, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর করা হয়। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ড্যাফোডিলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সেখান থেকে চলে আসেন। তবে কিছু শিক্ষার্থী সেখানে আটকা পড়েন। পরে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসতর্কতাবশতই সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ফেলা থুতু ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। সেখানে “সরি” বলার পর বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু রাতে এসে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের মেসে ভাঙচুরের ঘটনাটি কাম্য নয়। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের।’
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর শেখ মুহাম্মদ আলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনো আমাদের ৯ শিক্ষার্থীকে সিটি ইউনিভার্সিটিতে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের। এ ঘটনায় ড্যাফোডিলের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।’
সিটি ইউনিভার্সিটির প্রক্টর অধ্যাপক আবু জায়েদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, সেটি এখনো আমরা নিশ্চিত নই। ছাত্রদের মারামারি থেকে ক্যাম্পাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে না। এটি পরিকল্পিত। আমাদের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।’


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও