• রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ইডেন শিক্ষার্থীদের কান্দাহারে পাকিস্তানি বিমান হামলায় ২০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত: রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই: মির্জা ফখরুল শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী করতে হবে : মঈন খান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারেক রহমানের উদ্বেগ, পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান কার্গো ভিলেজের আগুন নির্বাপণে সহযোগিতায় নেমেছে আনসার, আহত ২৫ শিক্ষকদের দাবি আদায়ে যদি যমুনা-সচিবালয় ঘেরাও করতে হয়, আমরাও থাকবো: রাশেদ খান রাজপথে না থাকায় সালাহউদ্দিন জুলাইযোদ্ধাদের চিনতে পারছেন না: নাহিদ ​শ্রীপুরে আল ইত্তেহাদ ইসলামী সংস্থার উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পরেও বাবা পেলেন ছেলের লাশ, আটক ২

প্রভাত রিপোর্ট / ১৯৭ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

মো. রেজাউল করিম, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও এর চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র মিলন হোসেনকে (২৩) মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। তবে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে জীবিত পেলনা পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৩ টার দিকে দুই অপহরণকারী গ্রেফতার ও মিলনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছেলে মো. সেজান আলীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন,’ অনেক দিন ধরে এই বিষয়ে কাজ করছিলাম আমরা। কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। প্রযুক্তির সহযোগিতায়া দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া সেজান আলীর বাড়ির পাশেই একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের নিচ থেকে মিলনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, বুধবার রাতে মিলনকে অপহরণে ঘটনায় আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে এবং তাদের তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় স্বাক্ষীদের সামনে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পিছনে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়েই নিখোঁজ হয় মিলন। ঘটনার দিন রাত ১ টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠো ফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘন্টার মধ্যেই মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পরে কয়েক ধাপে অপহরনকারী চক্র ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে ওই টাকা গত ৯ মার্চ রোজ রবিবার অপহৃত মিলনের পিতা পানজাব আলী অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেয় বলে শোনা যায়। জায়গা জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার পরেও ছেলেকে জীবিত না পেয়ে ছেলের পরিবার ও এলাকাবাসী শোকে কাতর।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও