• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উদীচীর গানের মিছিলে পুলিশের বাধা: সরকারকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম বাংলাদেশে সাংবাদিকদের আইনি সহায়তায় ইউনেস্কোর সাপোর্ট ডেস্ক মালয়েশিয়া থেকে জোর করে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ন্যায়বিচার-ক্ষতিপূরণ দাবি ৬ মিনিটেই শেষ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট! সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক পান্নার জামিন আপিলে বহাল আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের জলকামান-টিয়ারশেল নিক্ষেপ ফারইস্টের সাবেক পরিচালক এম এ খালেক ৩ দিনের রিমান্ডে মানুষ ও শিয়ালের বিরল বন্ধুত্ব, নাম ধরে ডাকলেই জঙ্গল থেকে ছুটে আসে ‘লালু’ রাস্তা বন্ধ করে যাতায়াত: জিএমপির সেই কমিশনার বরখাস্ত রাজধানীর সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ১

ইসরায়েলের গোপন কারাগার ‘রাকেফেত’, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না কখনো

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: মাটির নিচে একটি গোপন কারাগারে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে আটক করে রেখেছে ইসরায়েল। সেখানে তাঁরা কখনো সূর্যের আলো দেখতে পান না, পর্যাপ্ত খাবার পান না। পরিবার কিংবা বাইরের পৃথিবীর কোনো খবরও তাঁদের কাছে পৌঁছায় না। ওই কারাগারে বন্দীদের মধ্যে অন্তত দুজন সাধারণ নাগরিক। তাঁদের মাসের পর মাস কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। ওই দুই বন্দীর একজন পুরুষ নার্স। তাঁকে হাসপাতালের পোশাক পরা অবস্থায় আটক করা হয়। অন্যজন তরুণ খাবার বিক্রেতা। আইনি সহায়তা দানকারী প্রতিষ্ঠান পাবলিক কমিটি এগেইনস্ট টর্চার ইন ইসরায়েলের (পিসিএটিআই) আইনজীবীরা তাঁদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন। দ্য গার্ডিয়ান
আটক ওই দুই ব্যক্তিকে গত জানুয়ারিতে ভূগর্ভস্থ রাকেফেত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তাঁরা সেখানে তাঁদের সঙ্গে সহিংস আচরণের এবং নিয়মিত মারধরের শিকার হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন।
ইসরায়েলের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ অপরাধীদের আটক রাখার জন্য ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে রাকেফেত কারাগার চালু করা হয়। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই অমানবিক আখ্যা দিয়ে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের উগ্রপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির কারাগারটি পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন।
কারাকক্ষ, ব্যায়ামের মাঠ কিংবা আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কক্ষ—সবই মাটির নিচে। ফলে প্রকৃতির আলো ছাড়াই এখানকার বন্দীদের বেঁচে থাকতে হয়।
পিসিএটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, কড়া নিরাপত্তাবলয়ে রাখতে হয়, এমন অল্প কিছু বন্দীর জন্য প্রাথমিকভাবে রাকেফেত কারাগার তৈরি করা হয়েছিল। প্রত্যেক বন্দীর জন্য বানানো হয় পৃথক কক্ষ। ১৯৮৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ১৫ জন বন্দী ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে আনুমানিক ১০০ বন্দীকে রাখা হয়েছে।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল তাদের আদালতে দোষী সাব্যস্ত ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া গাজা থেকে আটক ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই তাঁদের মাসের পর মাস আটক রাখা হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন রাকেফেত কারাগারে বন্দী থাকা খাবার বিক্রেতা ওই তরুণও। তবে এখনো ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি আটক আছেন। রাকেফেত কারাগারে বন্দী ওই নার্স তাঁদেরই একজন।
ইসরায়েলের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ অপরাধীদের আটক রাখার জন্য ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে রাকেফেত কারাগার চালু করা হয়। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই অমানবিক আখ্যা দিয়ে এটি বন্ধ করা হয়।
পিসিএটিআই বলেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ হলেও গাজার ফিলিস্তিনিদের এখনো ইসরায়েলি কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন ও নির্যাতনের সমতুল্য।
রাকেফেত কারাগারে বন্দী থাকা ওই নার্স ও তরুণ খাবার বিক্রেতা গত সেপ্টেম্বরে পিসিএটিআইয়ের আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
৩৪ বছর বয়সী ওই নার্সকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাসপাতালে কাজ করার সময় আটক করা হয়। আর ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি একটি তল্লাশিচৌকি থেকে আটক করা হয় তরুণ খাবার বিক্রেতাকে।
পিসিএটিআইয়ের আইনজীবী জেনান আবদু বলেন, ‘আমরা যে মক্কেলদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তাঁরা ছিলেন সাধারণ নাগরিক। আমি যার সঙ্গে কথা বলেছি, সে ছিল ১৮ বছর বয়সী খাবার বিক্রেতা। তাকে রাস্তায় একটি তল্লাশিচৌকি থেকে তুলে আনা হয়েছিল।’
ইসরায়েলি নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বেন-গভির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং পার্লামেন্টের এক সদস্যকে বলেন, হামাসের বিশেষ বাহিনী নুখবার সদস্য এবং হিজবুল্লাহর বিশেষ যোদ্ধাদের বন্দী রাখার জন্য রাকেফেত কারাগার আবার চালু করা হয়েছে। নুখবার সদস্যরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সঙ্গে জড়িত কোনো ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আর খাবার বিক্রেতা ওই তরুণ হামলায় জড়িত না থাকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল তাদের আদালতে দোষী সাব্যস্ত ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া গাজা থেকে আটক ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই তাঁদের মাসের পর মাস আটক রাখা হয়েছিল।
ইসরায়েলি কারাগার পরিষেবা (আইপিএস) রাকেফেতের অন্যান্য বন্দীর পরিচয় ও অবস্থা সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
ইসরায়েলি গোপন নথি অনুযায়ী, যুদ্ধ চলাকালে যেসব ফিলিস্তিনিকে গাজা থেকে আটক করা হয়েছিল, তাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক। ২০১৯ সালে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ভবিষ্যৎ আলোচনার জন্য ফিলিস্তিনিদের মরদেহ রেখে দেওয়া আইনসম্মত। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, একইভাবে ইসরায়েল জীবিত বন্দীদেরও ‘বিনিময়ের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
পিসিএটিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক তাল স্টেইনার বলেন, ইসরায়েলের সব কারাগারেই ফিলিস্তিনি বন্দীদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছে। বর্তমান ও সাবেক বন্দী এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে তথ্য ফাঁস করে দেওয়া সদস্যরা—সবাই এসব কারাগারে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন। তবে রাকেফেত কারাগারে নির্যাতনের ধরন আলাদা। স্টেইনার বলেন, মাটির নিচে মাসের পর মাস বন্দী থাকা মানুষগুলো সূর্যের আলোর দেখা পান না। এতে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। এমন শোষণমূলক ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকা কঠিন। এটি শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।
মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে ইসরায়েলের তেল আবিবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রামলার বিভিন্ন কারাগারে গেলেও সেখানে রাকেফেত কারাগার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না স্টেইনার। বেন-গভির এটি আবার চালু করার আদেশ দেওয়ার পর তিনি প্রথম কারাগারটির কথা শোনেন।
মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে ইসরায়েলে তেল আবিবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রামলার বিভিন্ন কারাগারে গেলেও সেখানে রাকেফেত কারাগার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না স্টেইনার। বেন-গভির এটি আবার চালু করার আদেশ দেওয়ার পর তিনি প্রথম কারাগারটির কথা শোনেন।
পিসিএটিআই প্রতিষ্ঠার আগেই রাকেফেত কারাগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আশির দশকের মাঝামাঝি ইসরায়েলি কারাগার পরিষেবার প্রধান রাফায়েল সুইসার আত্মজীবনী এবং বিভিন্ন সংগ্রহশালা ঘেঁটে এটি সম্পর্কে জানতে পারেন পিসিএটিআইয়ের আইনজীবীরা।
সুইসা তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, ২৪ ঘণ্টা মাটির নিচে কাউকে বন্দী করে রাখা অত্যন্ত নিষ্ঠুর কাজ। যেকোনো মানুষের জন্য এটি অমানবিক, তিনি যত বড় অপরাধীই হোন না কেন।
চলতি গ্রীষ্মে পিসিএটিআইয়ের আইনজীবীদের রাকেফেত কারাগারে বন্দী দুই ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করতে বলা হয়। এরপরই প্রথম সেখানে যান আইনজীবী জেনান আবদু ও তাঁর এক সহকর্মী।
ভারী অস্ত্রে সজ্জিত মুখোশ পরা নিরাপত্তারক্ষীরা ওই দুই আইনজীবীকে মাটির নিচের ওই কারাগারে নিয়ে যান। তাঁরা ময়লা সিঁড়ি বেয়ে একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। কক্ষটি ছিল মরা-পচা পোকামাকড়ে ভরা। সেখানকার শৌচাগার এত নোংরা ছিল যে তা ব্যবহারের উপযুক্ত নয়।
কারাগারের দেয়ালগুলোতে নজরদারি ক্যামেরা লাগানো ছিল, যা আইনত মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। প্রহরীরা আইনজীবীদের সতর্ক করে বলেন, বন্দীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার কিংবা গাজা যুদ্ধের বিষয়ে কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে এ সাক্ষাৎ বাতিল করা হবে।
আবদু বলেন, ‘আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি আইনজীবী হিসেবে আমাদের অবস্থাই এমন অপমানজনক হয়, তাহলে এখানকার বন্দীদের অবস্থা কেমন হতে পারে? এর উত্তর বন্দীদের দেখামাত্র পেয়ে গিয়েছিলাম।’ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বন্দীদের মাথা নিচু করে আনা হয়। প্রহরীরা জোর করে তাঁদের হেঁট করে রেখেছিলেন।
জেনান আবদুর সহকর্মী আইনজীবী সাজা মিশেরকি বারানসি বলেন, ‘ওই দুজন ৯ মাস ধরে রাকেফেত কারাগারে বন্দী। নার্সের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করেন, “আমি কোথায়, আমাকে কেন এখানে আনা হয়েছে।” প্রহরীরা তাঁকে ওই কারাগারের নাম পর্যন্ত জানাননি।’
বারানসি বলেন, ইসরায়েলি বিচারকেরা ভিডিও শুনানিতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওই দুজনের আটকাদেশ অনুমোদন করেন। তাঁদের কোনো আইনজীবী দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের তথ্যপ্রমাণও দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়, যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত তাঁরা কারাগারে থাকবেন।
ওই দুই বন্দী জানান, কারাগারটির কক্ষগুলোতে কোনো জানালা নেই। এমনকি বাতাস চলাচলেরও কোনো জায়গা নেই। একেকটি কক্ষে একসঙ্গে তিন-চারজনকে রাখা হয়। নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন, মুখোশ পরা কুকুর দিয়ে হামলা, প্রহরীদের দিয়ে পায়ের নিচে পিষ্ট করা, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ও প্রায়ই না খাইয়ে রাখার মতো নির্যাতনের শিকার হন বন্দীরা।
মাটির নিচে মাসের পর মাস বন্দী থাকা মানুষগুলো সূর্যের আলোর দেখা পান না। এতে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। এমন শোষণমূলক ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকা কঠিন। এটি শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।
দিনের বেলা বন্দীদের কক্ষের বাইরে বের হওয়ার জন্য দেওয়া হয় নামমাত্র সময়। তা-ও মাটির নিচেই একটি ছোট জায়গায়। প্রায় দুই দিন পরপর মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য তাঁরা বের হতে পারতেন। প্রতিদিন ভোর চারটার দিকে বিছানা সরিয়ে নেন প্রহরীরা। তা ফেরত দেওয়া হয় গভীর রাতে। এ সময়ে বন্দীদের ঘুমাতে হয় শুধুই লোহার খাটে।
বন্দীদের বর্ণনা টেলিভিশনে প্রচারিত বেন-গভিরের রাকেফেত–সম্পর্কিত বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়। রাকেফেত নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জায়গা মাটির নিচে।’
আইনজীবী বারানসি বলেন, আটক ওই নার্স ২১ জানুয়ারি রাকেফেত কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়ার সময় সর্বশেষ সূর্যের আলো দেখেছিলেন। এর আগে তিনি এক বছর ধরে অন্যান্য কারাগারে ছিলেন। তিন সন্তানের বাবা এই নার্স আটক হওয়ার পর থেকে পরিবারের কোনো খবর পাননি।
বারানসি আরও বলেন, ‘আমি যখন ওই নার্সের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তখন শুধু তাঁর পরিবার সম্পর্কে এতটুকুই বলতে পেরেছিলাম যে আপনার মা এখনো বেঁচে আছেন। তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে আপনার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন।’
অন্যদিকে খাবার বিক্রেতা তরুণের সঙ্গে কথা বলেন জেনান আবদু। তরুণটি জানতে চান, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিরাপদে সন্তান প্রসব করতে পেরেছেন কি না। এ প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে প্রহরী তাঁদের কথোপকথন বন্ধ করে দেন এবং বন্দীদের নিয়ে যান। আবদু লিফটের শব্দ শুনে বুঝতে পারেন যে মাটির আরও গভীরেও কারাকক্ষ আছে।
ওই তরুণ আবদুকে বলেন, ‘আটক হওয়া পর প্রথম কোনো মানুষ হিসেবে আপনার সঙ্গে দেখা হলো। দয়া করে আবার আসবেন।’ পরে আবদু জানতে পেরেছিলেন যে ওই তরুণ ১৩ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও