• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন

ওজন কমাতে ওজেম্পিক গুঞ্জন: ক্ষুব্ধ তামান্না ভাটিয়া

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

প্রভাত বিনোদন : সাম্প্রতিক সময়ে অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া আলোচনায় রয়েছেন তার শারীরিক পরিবর্তন ও নতুন লুক নিয়ে। কেউ কেউ প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন, আবার কেউ অভিযোগ তুলেছেন— তিনি নাকি ওজন কমাতে ওজেম্পিক ব্যবহার করেছেন। ওজেম্পিক হলো ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি ইনজেকশন বা ওষুধ, যা সাধারণত টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ব্যবহার করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটি ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে অনেকেই ব্যবহার করছেন, যদিও সেই ব্যবহার সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নয়।
কিন্তু অভিনেত্রী এবার নিজেই মুখ খুললেন এই গুঞ্জনের বিরুদ্ধে, জানালেন সত্যিটা এবং বললেন কেন তিনি কখনও ‘গ্লোবাল বিউটি স্ট্যান্ডার্ড’-এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে চান না।
হার্পারস বাজার ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামান্না বলেন, ‌‌‘আমি পনেরো বছর বয়স থেকে ক্যামেরার সামনে কাজ করছি। মানুষ আমাকে পর্দায় বড় হতে দেখেছে, তাই আমার লুকিয়ে রাখার কিছু নেই। বিশের দশকের শেষ পর্যন্ত আমি ছিলাম স্বাভাবিকভাবেই পাতলা শরীরের অধিকারী। এটাই আমার প্রকৃত গঠন। এখন যে অবস্থায় আছি, সেটি আমার কাছে নতুন কিছু নয়— এভাবেই আমি বড় হয়েছি।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, কোভিডের সময় ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল, আর সেই সময়ই নাকি হিন্দি দর্শকরা তার একটি ভিন্ন রূপ দেখেছিলেন। যদিও দক্ষিণ ভারতে তিনি এর আগেই প্রতিষ্ঠিত নাম ছিলেন, তবে এস এস রাজামৌলির ‘বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’ (২০১৫)-এর পর তামান্না পুরো ভারতজুড়ে জনপ্রিয়তা পান। তিনি বলেন, ‘হিন্দি দর্শকদের কাছে হয়তো এই শরীর নতুন মনে হচ্ছে, কিন্তু আমি প্রায় ১০০টি সিনেমায় কাজ করেছি। মানুষ আমাকে বিভিন্ন চরিত্রে ও নানা শরীরের রূপে দেখেছে। আসলে একজন নারীর শরীর বদলায়— প্রতি পাঁচ বছর পর আমরা নিজেদের নতুন এক সংস্করণ দেখি।’
মহামারির সময় ওজন ধরে রাখা ছিল সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ, জানালেন তিনি। বললেন, ‘কোভিড আমার শরীরে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছিল। আগের মতো ওজন রাখা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। আমি খেতে ভালোবাসি, ভাত-রুটি-ডাল ছাড়া চলেই না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলার পরও যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতাম, তখন ভাবতাম— আমি কি খুব মোটা দেখাচ্ছি? পেটটা কি বাইরে বেরিয়ে আছে? সত্যিই কিছু সময় এমন হয়েছিল, যখন আমার পেট বেরিয়ে আসছিল, আমি নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম—আমার শরীরে কী হচ্ছে!’
শরীর প্রসঙ্গে আরও বলেন তামান্না, ‘এটা সত্যি, ইনফ্লামেশন বাস্তব বিষয়। প্রতিটি নারীই জানেন, শরীরের পরিবর্তন কেমন হয়। আমারও ত্রিশের কোঠায় এসে সেটা হয়েছে। কিন্তু আমার কার্ভ কোথাও যাচ্ছে না, কারণ আমি সিন্ধি মেয়ে। আমার হিপ ও কোমরের গঠন যেমন— সেটা মুছে ফেলা সম্ভব নয়। আমি কখনও বৈশ্বিক সৌন্দর্যের মানদণ্ডে নিজেকে বাঁধব না। ভারতীয় শরীর যেমন, সেটিই এখন বিশ্বজুড়ে আদর্শ। মানুষ আমাদের কার্ভ ভালোবাসে, এবং এখন সময় এসেছে আমরাও সেটিকে গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করার।’

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও