প্রভাত রিপোর্ট: দেশের ১ হাজার ৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার (২৬ নভেম্বর) ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘোষণা দেন পরিষদের সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ। তিনি বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। মাসের শুরুতে আমরা যখন ‘লং মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা করেছিলাম, তখন আমাদের ডেকে নিয়ে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। আমরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাই। এরপর আমাদের ডেকে নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এক মাস সময় চাইলেন। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে, তাকে আর বিশ্বাস করতে পারছি না।
ইলিয়াস রাজ আরও বলেন, আমরা আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবো। এবার আমরা প্রজ্ঞাপন ছাড়া পিছু হাঁটবো না। এর আগে গত ৩ নভেম্বর ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হয় আন্দোলনরত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে তিনজন শিক্ষককে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় ইলিয়াস রাজ বলেছিলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘসময় আলোচনা করেছি। প্রধান উপদেষ্টার পরিচালক প্রশাসনের এডমিন প্রধান মো. নাজমুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি (নাজমুল ইসলাম) যথেষ্ট আন্তরিক মানুষ। একসময় তিনি নিজেও একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার পরিচালক প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে সাত কার্যদিবস সময় চাওয়া হয়েছে। এই সাত কার্যদিবসের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা আশাবাদী, সরকারের সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষেই হবে।
শিক্ষকদের ৫ দাবি হলো : ১. অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি সুনিশ্চিত করতে হবে। ২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী বান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। ৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ উচ্চ উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৫. ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে এবং সব চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করতে হবে।