• বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ট্রাফিক সার্জেন্টদের হাতে তাৎক্ষণিক জরিমানার নতুন ক্ষমতা শাহবাগে বিসিএস প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৫ আফগানিস্তানের হুমকির পর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলো পাকিস্তান লটারির মাধ্যমে এসপি বদলি ভালো পদ্ধতি হতে পারে না : নজরুল ইসলাম খান ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে ৯৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান কাল ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ করবে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভূমিকম্প আতঙ্কে সাত দিনের জন্য বন্ধ বিএমইউর আবাসিক হল অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশের কৃষিজমি দ্রুত কমে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এই সরকার চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে না: কায়সার কামাল
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার-নার্স-কৃষিবিদরা পেলে আমরা কেন নয়?

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে ৯৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারকে চার দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। একই যোগ্যতার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, নার্স ও কৃষিবিদরা বহু আগেই ১০ম গ্রেড পেলেও তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তারা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবি উপস্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের মহাসচিব মো. রিপন শিকদার। তিনি বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতাল, বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ, স্বাস্থ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি সচিবালয় ও বঙ্গভবনের মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। কিন্তু একই মানের ডিগ্রি ও সমপর্যায়ের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ৩১ বছর ধরে তারা গ্রেড বৈষম্যের শিকার।
রিপন শিকদার বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানানো হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে আবেদন, দাপ্তরিক চিঠি, সুপারিশ সবই হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি। এর বিপরীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১৯৯৪ সালে, নার্সদের ২০১৭ সালে এবং কৃষিবিদদের ২০১৮ সালে ১০ম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, ‘একই যোগ্যতা, একই স্তরের পেশাগত দক্ষতা, কিন্তু গ্রেডের ক্ষেত্রে বৈষম্য– এটা অযৌক্তিক।’
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশে বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, রেডিওথেরাপি, ফিজিওথেরাপি, ডেন্টাল টেকনোলজি এবং ওষুধ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এই পেশাজীবীরা স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও কয়েক দফা ১০ম গ্রেড দেওয়ার প্রস্তাব স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতা ও মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রতার কারণে সিদ্ধান্ত আটকে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ৩০ নভেম্বর দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপর ১ ও ২ ডিসেম্বর নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হবে। ৩ ডিসেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ৪ ডিসেম্বর সারা দেশে পূর্ণদিবস শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।
নেতারা বলেন, ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত না নিলে তারা লাগাতার শাটডাউনে যাবেন। তারা আশা করেন, দীর্ঘদিনের এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও