প্রভাত স্পোর্টস : লিওনেল মেসির হাত ধরে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। গতকাল প্লে-অফের ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে নিউইয়র্ক সিটি এফসিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন মেসিরা।
ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। যারা ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে সান ডিয়েগোকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। বাংলাদেশ সময় আগামী ৭ ডিসেম্বর এমএলএস কাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। ফাইনালে অবশ্য শুধু দলীয় লড়াইয়েই নয়, চোখ থাকবে লিওনেল মেসি ও টমাস মুলারের ব্যক্তিগত দ্বৈরথের দিকেও।
এ মৌসুমের শুরুতে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালেও ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হয়েছিল ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। যেখানে দুই লেগ মিলিয়ে মায়ামিকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। তবে দুটি ম্যাচই হয়েছিল মুলার আসার আগে। এবারের ফাইনালে মুলারের উপস্থিতি তাই বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
একসময় ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত বিরতিতেই মুখোমুখি হতেন মেসি-মুলার। সব মিলিয়ে এই দুই তারকা এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছেন ১০ বার, তার মধ্যে ৭ বার জিতেছে মুলারের দল। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল (১-০ অতিরিক্ত সময়ে) থেকে শুরু করে ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে বায়ার্নের ৮-২ গোলের অবিশ্বাস্য জয়—সব জায়গায় এগিয়ে জার্মান তারকা।
জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির জেতা দুটি প্রীতি ম্যাচ বাদ দিলে রেকর্ড আরও একতরফা। ২০১৪-১৫ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটি ছাড়া মেসি কখনো মুলারের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। এখন লড়াইটা মুলারের রেকর্ড সমৃদ্ধ করার এবং মেসির জন্য সেটি প্রতিশোধের।
যদিও ফাইনালের লড়াইকে মেসি বনাম মুলারের দ্বৈরথ হিসেবে দেখছেন না জার্মান তারকা। ম্যাচ শেষে মুলার বলেছেন, ‘এটা মেসি বনাম মুলারের বিষয় নয়। এটা মায়ামি বনাম হোয়াইটক্যাপস। তারা হয়তো মেসির ওপর আমাদের চেয়ে বেশি নির্ভর করবে, কারণ আমরা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। আমি চেষ্টা করি সবাইকে একত্র রাখতে, আর ছেলেরা সেটাকে মূল্যায়ন করে। আজ (গতকাল) মাঠে দেখতেই পেলেন, আমরা আক্রমণ ও রক্ষণ—দুই দিকেই দারুণ খেলেছি।’
এরপরও এই ম্যাচে তাঁরা দুজন যে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন, সেটি জানা আছে মুলারেরও, ‘যখন এমন দুই তারকা মুখোমুখি হয়, সবাই নজর রাখে। আর বেশি মানুষ যদি দেখে তবে খেলোয়াড়, দল—এমনকি ক্লাবের মূল্যও বেড়ে যায়।’