• শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন, সাতটি ট্রেন ভাড়া নিচ্ছে বিএনপি সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রেখেই জননিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিসেম্বরে ১৭ দিনেই রেমিট্যান্স ছাড়াল দুই বিলিয়ন ডলার সংসারে ভাঙন আর হুমকি-সাইবার বুলিংয়ে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন জান্নাতারা রুমী জুলাই বিপ্লব সংবিধানকে উল্টে দেয়ার প্রস্তাব দেয়নি: প্রধান বিচারপতি দেশপ্রেম প্রশংসনীয়, তবে তা যেন কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করে: বাবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন স্থগিত ঢাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ, গায়েবানা জানাজা শুক্রবার তারেক রহমানের ফিরে আসা স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ

‘ডেথ সেলে’ ইমরান খান, অথচ ক্রিকেট–বিশ্ব নীরব কেন

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: চার বছর আগেও ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখন তাঁর কাছেই পাকিস্তানের জীবন এর চেয়ে নিঃসঙ্গ আর হতে পারে না। জাতিসংঘে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী ৭৩ বছর বয়সী ক্রিকেট কিংবদন্তি ইমরান খানকে প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা একাকী সেলে রাখা হচ্ছে। তাঁর সেল রয়েছে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে। এমনকি পরিবারের ন্যূনতম সাক্ষাৎও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্য টেলিগ্রাফ
মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরান খানের শেষ প্রতিরোধটুকুও দমিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। তাঁর ছেলে কাসিম বলেন, ‘এটা মানসিক নির্যাতন। তাঁকে ভেঙে দেওয়ার জন্যই এসব করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে ভাঙা খুব, খুবই কঠিন।’
ইমরান খান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথের দুই ছেলে কাসিম ও সুলাইমান আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে এক দুঃস্বপ্নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। এ সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইমরানের নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ‘নৈতিক অবক্ষয়ের’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেটিকেই অজুহাত বানিয়ে ইমরানের সব অধিকার ও মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পথ তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ইমরান খানের আইনি সংকটও মারাত্মক। দুর্নীতির অভিযোগে দেওয়া ১৪ বছরের সাজা তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করছেন। একের পর এক নতুন মামলায় সে সংকট আরও জটিল হয়ে উঠছে। পরিবারটির আশঙ্কা, এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথ আর খোলা নেই।
কাসিম বলেন, ‘তাঁর (ইমরান খান) বিরুদ্ধে ২০০টির বেশি মামলা আছে। একটি মামলা খারিজ হলে সঙ্গে সঙ্গে আরও দু–তিনটি মামলা দেওয়া হয়। সবকিছুর উদ্দেশ্য একটাই—বিচারপ্রক্রিয়াকে অনন্তকাল ঝুলিয়ে রাখা।’
এদিকে সুলাইমান জানান, কারাগারের পরিস্থিতি প্রায় সহ্যের বাইরে। তিনি বলেন, ‘বাবাকে একটি খুব ছোট সেলে রাখা হয়েছে। একে “ডেথ সেল” বলা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের এখানেই রাখা হতো। কখনো বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কখনো তাঁকে বই বা পড়ার কিছু দেওয়া হয় না।’
কাসিম আরও বলেন, ‘তিনি যে পানি দিয়ে গোসল করেন, তা শুধু নোংরা নয়; রংও বদলে গেছে। ওই কারাগারে অন্তত এক ডজন বন্দী হেপাটাইটিসে মারা গেছেন। তাঁদের সবাই তাঁর দল পিটিআইয়ের সমর্থক ছিলেন।’
প্রশ্ন উঠছে, একজন বিশ্বখ্যাত ক্রীড়ানায়ক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কীভাবে এমন অবস্থায় পৌঁছালেন? পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খান এক প্রতীকী নাম। ক্রিকেট–বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তিনি। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়কও। সেই টুর্নামেন্টে তিনি সতীর্থদের বলেছিলেন, ‘কোণঠাসা বাঘের মতো লড়াই করো।’ নিজের দৃঢ়তা বোঝাতে বাঘের ছবি আঁকা টি-শার্টও পরেছিলেন তিনি।
তবে কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক দাবি করেছেন, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত বন্দীদের অন্যদের থেকে আলাদা রাখা হয়। কিন্তু জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যালিস জিল এডওয়ার্ডসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে খুবই দুর্দশার চিত্র। সেখানে বলা হয়েছে, ইমরানের সেলটি ছোট, বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নাজুক, প্রাকৃতিক আলো প্রায় নেই। তাপমাত্রা চরম পর্যায়ে ওঠানামা করে। পোকামাকড়ের উপদ্রবে তিনি বমি ভাব ও ওজন কমার সমস্যায় ভুগছেন।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, একজন বিশ্বখ্যাত ক্রীড়ানায়ক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কীভাবে এমন অবস্থায় পৌঁছালেন? পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খান এক প্রতীকী নাম। ক্রিকেট–বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তিনি। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়কও। সেই টুর্নামেন্টে তিনি সতীর্থদের বলেছিলেন, ‘কোণঠাসা বাঘের মতো লড়াই করো।’ নিজের দৃঢ়তা বোঝাতে বাঘের ছবি আঁকা টি-শার্টও পরেছিলেন তিনি।
মাঠের ভেতরের সুশৃঙ্খল ভাবমূর্তির বাইরে খানের ব্যক্তিগত জীবনও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। লন্ডনের ট্র্যাম্প নৈশক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত আর অবিবাহিত জীবন তাঁকে নব্বইয়ের দশকে গসিপ কলামের (তারকাদের নিয়ে বিনোদনমূলক লেখালেখি) পরিচিত মুখ বানিয়েছিল। ক্লাবটির মালিক জনি গোল্ড বলেছিলেন, নারীদের ওপর ইমরানের প্রভাব ছিল জর্জ বেস্টের মতো। মডেল মারি হেলভিন বলেছিলেন, ‘ইমরানের মতো বিধ্বংসী পুরুষ আর কেউ ছিলেন না।’
১৯৯৫ সালে ইমরান বিয়ে করেন তখনকার ২১ বছর বয়সী ধনকুবের উত্তরাধিকারী জেমিমা গোল্ডস্মিথকে। বয়সে ২২ বছরের ব্যবধান ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও বিয়ের পর জেমিমা বলেছিলেন, ‘পাশ্চাত্য সংস্কৃতি; যার মধ্যে আমি বেড়ে উঠেছি, সেটির প্রতি অসম্মান না রেখেই বলছি, মদ আর নৈশক্লাবের ক্ষণস্থায়ী আনন্দ আমি সহজেই ছেড়ে দিতে রাজি।’
২০০৪ সালে এ দম্পতির বিচ্ছেদ হলেও ইমরানের বর্তমান অবস্থার প্রতি জেমিমার উদ্বেগ কমেনি। সাবেক স্বামীর কারাবাসে তাঁর দুই ছেলের যে যন্ত্রণা হচ্ছে, সে বিষয়েও তিনি গভীরভাবে চিন্তিত। এ সপ্তাহেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি আবেদন করেছেন, ইমরান খান–সম্পর্কিত পোস্টগুলো এক্সে সীমিত করা বন্ধ করা হোক। একই সঙ্গে অভিযোগ করেছেন, প্রতিষ্ঠানটি গোপনে এসব পোস্টের প্রচার সীমিত করছে।
ইমরান খানের ছোট ছেলে কাসিম (২৬) বলেন, ‘আমাদের জন্য তিনি (মা) খুব চিন্তিত। তিনি জানেন, বাবা আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাবা কখনো আমাদের থেকে দূরে ছিলেন না। শৈশবজুড়ে আমরা তাঁকে পেয়েছি। বড় ছুটিতে তিনি রিচমন্ডে আমাদের সঙ্গে থাকতেন। আমাদের কষ্ট দেখাটা তাঁর (মায়ের) জন্যও কঠিন।’
কাসিম ও তাঁর বড় ভাই সুলাইমান (২৯) দুজনই মনে করেন, দ্য টেলিগ্রাফে কথা বললে অন্তত মানুষের দৃষ্টি ইমরান খানের অবস্থার দিকে যাবে। তবে অনেক সময় তাঁদের চেষ্টা বৃথা বলেই মনে হয়। অ্যাশেজ সিরিজের মতো সময় যখন ক্রিকেট–বিশ্ব সবচেয়ে বেশি আলোচনায়, তখন কি এক কিংবদন্তির খেলোয়াড়ের ওপর চলা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের কথা তোলার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় নয়? অথচ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কোনো দেশ থেকেই কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। এমনকি ভারত-প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও নীরব, যার হল অব ফেমে ইমরান খানের নাম রয়েছে।
ছেলেদের আশঙ্কা, বেশি কথা বললে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার আরও কঠোর হবে। কাসিম বলেন, ‘আমরা প্রতিক্রিয়া জানালেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এবার তাদের লক্ষ্য পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলা।’ তবু তাঁরা মনে করেন, চুপ করে থাকা সম্ভব নয়।
সুলাইমান বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি চাইতাম না, বাবা রাজনীতিতে থাকুন। সব সময় ভয় লাগত। তাঁর জীবন যে ঝুঁকিতে, এমন গল্প শুনতাম। দুবার তিনি প্রায় মারা গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে লাহোরে এক সমাবেশে ২০ ফুট উঁচু থেকে পড়ে যান, আর তিন বছর আগে তাঁকে গুলি করা হয়। এখন আমি বড় হয়েছি। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। আমি চাই তাঁকে আমাদের পাশে পেতে। কিন্তু এটাও চাই, তিনি যা করছেন, তা যেন চালিয়ে যান; কেননা, এটাই (এ লড়াই) তাঁর জীবনের লক্ষ্য।’
কাসিম ও সুলাইমান দুজনই মনে করেন, অ্যাশেজ সিরিজের মতো সময় যখন ক্রিকেট–বিশ্ব সবচেয়ে বেশি আলোচনায়, তখন কি এক কিংবদন্তির খেলোয়াড়ের ওপর চলা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের কথা তোলার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় নয়? অথচ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কোনো দেশ থেকেই কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। এমনকি ভারত-প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও নীরব, যার হল অব ফেমে ইমরান খানের নাম রয়েছে।
পাকিস্তানের রাজনীতির এক বিস্ময়কর বাস্তবতা হলো, গত ৫০ বছরে দেশটির সব প্রধানমন্ত্রীকেই কোনো না কোনো সময় কারাগারে যেতে হয়েছে। সাধারণত সমঝোতার মাধ্যমেই এসব সংকট মিটেছে। চ্যাথাম হাউসের গবেষক ও ‘মেকিং সেন্স অব পাকিস্তান’ বইয়ের লেখক ফারজানা শেখ বলেন, ইমরানের সামনে দুটি পথ খোলা আছে। লন্ডনে নির্বাসন বা নিজ দেশে গৃহবন্দিত্ব।
‘আমি তাঁর ছেলেদের জিজ্ঞেস করি, তাঁদের বাবা কি এমন কোনো সমঝোতা মানবেন, যাতে কারাগারে থাকার কষ্টটা কমে; আর তাঁরা কি সেটা চাইবেন?’, বলেন ফারজানা শেখ। জবাবে কাসিম বলেন, ‘আমার মনে হয়, তিনি লন্ডনে এলে হতাশায় ভুগবেন। দেশ দুর্নীতিবাজদের হাতে পড়েছে—এ ভাবনা তাঁকে কুরে কুরে খাবে। এ লড়াই–ই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’ আর লাহোরে গৃহবন্দিত্বের প্রস্তাবও মানবেন না বলে সুলাইমান জানান। কারণ, তখন তিনি (ইমরান) রাজনীতি করতে বা কথা বলতে পারবেন না।
কাসিম ও সুলাইমানের নিজেদের জীবনও আছে। কাসিম একটি অনলাইন মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তা। আর সুলাইমান রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁর মামা জ্যাক গোল্ডস্মিথের ২০১৬ সালের লন্ডনের মেয়র হওয়ার নির্বাচনী প্রচার থেকে। ৪ হাজার মাইল দূরে কারাবন্দী বাবার সংকট তাঁরা কীভাবে সামলাচ্ছেন? কাসিম বলেন, ‘নিজেকে আলাদা করে রাখা খুব জরুরি। আমি কাজ করি, ফুটবল খেলি। সবকিছু নিয়ে ভাবতে বসলে কিছুই করা সম্ভব হয় না।’
বাবাকে নিয়ে তৈরি হওয়া সংকটের সমাধানের আশায় দুই ভাই এ বছরের শুরুতে ওয়াশিংটনে গিয়ে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারম্যান ও প্রেসিডেনশিয়াল বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সঙ্গে দেখা করেন। তবে সুলাইমান বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মাধ্যমে মুক্তির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ‘সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক এখন ভালো। পাকিস্তান সরকার তো ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথাও বলেছে।’
ইমরানের ছেলেদের সামনে একটাই পথ খোলা আছে। তা হলো, নিজেদের পাকিস্তানে যাওয়া। সেখানে রাজনীতিবিদদের সাহায্য চাইতে পারেন তাঁরা, যাতে বাবার অবস্থা কিছুটা ভালো হয়। কিন্তু এতে ঝুঁকি অনেক। এমন কোনো কাজ, যা প্রতিবাদ হিসেবে গণ্য হতে পারে, তা তাঁদের নিজেদের গ্রেপ্তারের কারণ হতে পারে। কাসিম বলেন, ‘যদি আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি বাবার প্রভাবশালী অবস্থান ও অটুট ইচ্ছাশক্তি হারানোর কারণ হয়ে উঠতে পারে। এটা একমাত্র কারণ হতে পারে, যার ফলে তিনি কোনো সমঝোতায় রাজি হবেন। কারণ, তিনি কখনো চাইতেন না, আমরা রাজনীতিতে থাকি বা তাঁর বিশৃঙ্খলার মধ্যে জড়াই। এতে তিনি দ্বিধায় পড়বেন। আর আমি চাইব না, এটির জন্য আমি দায়ী হই।’
কাসিম বলেন, ‘আমরা শুধু একবার তাঁকে দেখতে চাই। তাঁর বয়স ৭৩। জানি না, আর কখনো তাঁকে দেখতে পাব কি না।’ পাকিস্তানের ইতিহাস ও ক্রিকেটের এক গৌরবময় অধ্যায়ের (ইমরান খান) এই অন্ধকার সময়ে, তাঁকে আর দেখা যাবে কি না, এ ভাবনাই সবচেয়ে বেদনাদায়ক।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও