• বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিবচরে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ফল ও ফলদ বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় ডোবায় ঝাঁপ দিলেন কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২ ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ: কোন কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কতজন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে যেতে হলে সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন: আমীর খসরু বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত : আলী রীয়াজ নিজের গাছের পাকা কাঁঠাল পেড়ে এনসিপি নেতাদের আপ্যায়ন করলেন কৃষক ইসির ‘ব্যালট’ প্রকল্পে ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে জাপান ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে এশিয়ান কাপে এক পা বাংলাদেশের

শুল্কারোপে পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কায় ৭৩ শতাংশ মার্কিন নাগরিক

প্রভাত রিপোর্ট / ৩২ বার
আপডেট : বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে নতুন করে ব্যাপক শুল্ক আরোপের কারণে বেশির ভাগ মার্কিন বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন। রয়টার্স/ইপসোসের করা এক নতুন জরিপ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। তিন দিন ধরে চালানো জরিপটি গত রোববার শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা মনে করেন প্রায় সব আমদানির ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগামী ছয় মাসে বাড়বে। মাত্র ৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা মনে করেন দাম কমবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী অন্যদের কেউ কেউ মনে করেন, কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না। আবার কেউ কেউ প্রশ্নের উত্তর দেননি। গত সপ্তাহে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ধরনের শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনা। অর্থনীতিবিদদের অনেকে আশঙ্কা জানিয়েছেন, এ পদক্ষেপের কারণে দাম বেড়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বে মন্দা দেখা দিতে পারে।
রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৫৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা নতুন শুল্কের বিরোধিতা করছেন। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ উত্তরদাতা ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক। প্রায় ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা নতুন শুল্ককে সমর্থন জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৫২ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা ট্রাম্প প্রশাসনের এ যুক্তির সঙ্গে একমত যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধা নিচ্ছে। ট্রাম্প প্রায়ই এই দৃষ্টিভঙ্গিকে অন্য দেশের জন্য নতুন বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। তাঁর মতে, অন্য দেশের জন্য বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতে প্রসার ঘটবে। ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা ট্রাম্পের এ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি ভালো হবে কি না, তা নিয়ে মার্কিন নাগরিকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। উত্তরদাতাদের অর্ধেক বা ৫০ শতাংশই বলেছেন, তাঁরা এই বিবৃতির সঙ্গে একমত যে দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করার জন্য যেকোনো স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট মেনে নেওয়া যায়। এই ৫০ শতাংশ উত্তরদাতার প্রায় সবাই রিপাবলিকান। বাকি অর্ধেক উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা এ ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। এই উত্তরদাতাদের প্রায় সবাই ডেমোক্র্যাট। রয়টার্স/ইপসোসের জরিপটি অনলাইনে পরিচালিত হয়েছে। দেশজুড়ে চালানো ওই জরিপে ১ হাজার ২৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক অংশ নিয়েছিলেন।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা সব পণ্যের ওপর সর্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। একে ভিত্তি শুল্ক বলা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ৬০টি দেশের ওপর অতিরিক্ত হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাল্টা শুল্কের তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো এবং চীনের মতো বড় অর্থনীতির দেশও। ট্রাম্পের সর্বজনীন শুল্ক গত শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হচ্ছে আজ বুধবার থেকে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও