• বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন সংবিধান বদলাতে হবে, বর্তমান সংবিধান আওয়ামী সংবিধান : হাসনাত আব্দুল্লাহ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে না: নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে সরকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ইসরাইলের পিআর পদ্ধতি কেন আলেমদের আদর্শ হলো, বুঝে আসে না: প্রিন্স জাপানে শিক্ষাবৃত্তি ও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত, গেজেট প্রকাশ তিতাসে পাওনা টাকার জেরে রাজমিস্ত্রীকে হত্যা, দুই যুবক গ্রেপ্তার দুই বড় বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম, ডিমেও স্বস্তি

প্রভাত রিপোর্ট / ৩৯ বার
আপডেট : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত অর্থনীতি : ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে রাজধানীর কাঁচাবাজারে কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও মুরগি ও ডিমের দামে স্বস্তি দেখা গেছে। একদিকে যেমন ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশ টাকার নিচে নেমে এসেছে, তেমনি ডিমের দামেও বিরাজ করছে স্থিরতা। ঈদ পরবর্তী বাজারে মাছের দাম যখন বাড়তির দিকে, তখন মুরগির মাংসের দামে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য যেন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা-বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে চাহিদা কম থাকায় সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম তুলনামূলক কমেছে। এদিকে মুরগির দাম সাধারণ মানুষের কিছুটা নাগালে আসায় কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলেছে। বিশেষ করে মাছ কিনতে এসে অনেকেই এখন মুরগি কিনে ফিরছেন। ভোক্তারা আশা করছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং নজরদারি থাকলে এই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
বিক্রেতাদের দেয়া তথ্যমতে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে এই মুরগির দাম ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। সোনালী মুরগির কেজি এখন ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০০ টাকার ওপরে। এদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে। যদিও ঈদের আগে এই দাম ৮০০ টাকার ওপরে উঠেছিল। খাসির মাংসের দাম এখনও ১১০০ টাকা কেজির নিচে নামেনি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় এ দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্থির রয়েছে। ফলে অনেকেই মাংস না কিনে বিকল্প হিসেবে মুরগি বা ডিম বেছে নিচ্ছেন।
এদিকে মুরগির দামে স্বস্তি মিলায় ক্রেতারা বলছেন, মাছ ও অন্যান্য প্রোটিনের চড়া দামে মুরগিই এখন একমাত্র ভরসা। রামপুরা বাজারে বাজার করতে আসা গৃহিণী শিউলি বেগম বলেন, পাবদা মাছের কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮০০—সেখানে ১৯০ টাকায় মুরগি পাওয়া মানেই বাঁচা গেল! তাই মাছের জায়গায় মুরগি কিনে ফেললাম।
বেসরকারি চাকরিজীবী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের পরে বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে। যেকারণে মাছ খাওয়া এখন অনেকটা বিলাসিতা হয়ে গেছে। তবে আজ বাজারে এসে দেখলাম ব্রয়লারের দাম কম, ডিমও আগের মতোই। অন্তত এটুকু কিনে পরিবারে প্রোটিন নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এদিকে দাম তুলনামূলক কম থাকায় বিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি মুরগি-ডিমের বিক্রেতারা। রামপুরা বাজারের ডিম বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, ডিমের বাজারে আগে শক্তিশালী একটা সিন্ডিকেট ছিল, এখন সেটা অনেকটাই ভেঙে গেছে। যেকারণে ডিমের দাম বাড়েনি। ডিম এখন মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য কেনা সবচেয়ে সহজ।
মুরগি বিক্রেতা মফিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে কাস্টমার যতই থাকুক, দাম ছিল অনেক। এখন চাহিদা কম, তাই দামও কমাতে হচ্ছে। তবে এই দামে বিক্রি করলেও লাভ থাকে, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। বনশ্রী এলাকার আরেক বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, অনেকে মাছ কিনতে এসে এখন ব্রয়লার নিচ্ছেন। কারণ পাবদা-টেংরা বা চিংড়ির দাম অনেক বেশি। তার চেয়ে মুরগি নিয়ে বাসায় রান্না করাটা তুলনামূলক সাশ্রয়ী।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও