• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ফিলিস্তিনিদের জন্য সোহরাওয়ার্দীতে লাখো মানুষের মোনাজাত

ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগান

প্রভাত রিপোর্ট / ২২ বার
আপডেট : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোনাজাত করলেন লক্ষাধিক মানুষ। মোনাজাতে তারা ফিলিস্তিনের মুক্তি চেয়েছেন। মোনাজাতের মাধ্যমে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির সমাপ্ত হয়। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৪টা নাগাদ মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব ও মার্চ ফর গাজা কর্মসূচির সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক। মোনাজাতে তিনি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি কবুল করে নেয়ার কথা বলেন। ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার জন্য দোয়া করেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় বক্তা, ধর্মীয় সংগঠনের প্রধান, সামাজিক সংগঠনের নেতারা স্টেজে উপস্থিত হন। পরে ফিলিস্তিনের মুক্তি চেয়ে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান তোলেন মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ একাধিকজন।
মোনাজাতের আগে মঞ্চে থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, শায়খ আহমদুল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাদিক কায়েম, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক, অ্যাক্টিভিস্ট সাইমুম সাদি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।
এদিকে ‘মার্চ ফর গাজা’য় যোগ দেওয়া মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্যে হয়ে পড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশেপাশের এলাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় পা ফেলার জায়গা নেই। অনেকেই এসেছেন বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে। এসবের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রতি নিজেদের ঘৃণা প্রকাশ করেন। অনেকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক স্লোগান দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়র্দী উদ্যানে জড়ো হন। শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, মৎসভবন, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষকে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচির কারণে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জনতার উপস্থিতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামটর ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে গণজমায়েত কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’। আজ শনিবার বেলা তিনটার কিছু পরে এই গণজমায়েত শুরু হয়। গণজমায়েতে বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন উপস্থিত জনতা। মঞ্চে এই কর্মসূচিতে সংহতি জানানো বিভিন্ন দলের নেতাদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। ফেসবুকে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে একটি ইভেন্ট পেজ তৈরি করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামি বক্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এর আগে সকাল থেকেই ‘মার্চ ফর গাজা’ গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে শুরু করে। শাহবাগ ও আশপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকা হয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে দেখা গেছে। পিকআপ ভ্যানে করে তরুণদের স্লোগান দিতে দিকে উদ্যানের দিকে যেতে দেখা গেছে। তেজগাঁও ও খিলগাঁও এলাকায় প্রচুর মানুষকে ট্রেনের ছাদে চড়ে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার জন্য আসতে দেখা গেছে।
এদিকে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, রাাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে ভিডিও বার্তা দিছেন। তারা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু), খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, আপ বাংলাদেশের প্রধান উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, আলোচিত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ মহিউদ্দিন, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম আবরার, দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলাম, বুয়েটের প্রভাষক ও জনপ্রিয় ইউটিউবার এনায়েত চৌধুরী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোক্তার আহমেদ, ডা. জাহাঙ্গীর কবির, ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ঝালকাঠি নেছারাবাদ দরবার শরিফের পীর ছাহেব আল্লামা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, উপস্থাপক আরজে কিবরিয়া, উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ, অভিনেতা তামিম মৃধা, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের ভিডিও বার্তাও দেখা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও