• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহে অনীহা, ৩১৬ মিলের নিবন্ধন বাতিল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক রূপ ও সৌন্দর্য এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায় সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ কুয়াকাটার রাখাইনরা মেতেছে সাংগ্রাই উৎসবে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ চীনের ১০০০ শয্যার হাসপাতাল গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবিতে সংহতি সভা ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয় : ডাঃ শফিকুর রহমান ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বললেন আদালত

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

প্রভাত রিপোর্ট / ১০ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

প্রভাত সংবাদদাতা,ফুলবাড়ী : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় , স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও বাড়েনি প্রয়োজনীয় জনবল। বিশেষ করে কার্ডিওলজি, গাইনি, সার্জারি, শিশু, চক্ষু, মেডিসিন, ইএনটি, অ্যানেসথেশিয়া, অর্থোপেডিক, চর্মরোগ ও এলডিডি বিভাগে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২ জন। ১৩ জন মেডিকেল অফিসারের পদে মাত্র ৩ জন কর্মরত আছেন। এছাড়া টেকনোলজিস্ট, থার্ড ও ফোর্থ ক্লাস কর্মচারী, আয়া, অ্যাম্বুলেন্স চালক ও বিভিন্ন পদে রয়েছে বড় সংখ্যক শূন্যতা। মোট ১৭০টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৬৮টি পদই শূন্য।
এছাড়া ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসকের পদটি শূন্য থাকায় কোনো ধরনের অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ আগে মাসে ১০ থেকে ১৫টি অপারেশন করা হতো।
এদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ অ্যাম্বুলেন্সটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুষ্টিবিদ, থেরাপিস্ট ও ইসিজি অপারেটরের পদও শূন্য থাকায় বিকল্প উপায়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, কম জনবল নিয়ে চিকিৎসাসেবা চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত থাকলেও অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসক না থাকায় কোনো অপারেশন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ফুলবাড়ী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার অনেক মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। প্রতি মাসে এখানে ১৫ হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। বাড়তি চার উপজেলার আংশিক এলাকার জনসাধারণকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও তাদের জন্য বাড়তি ওষুধ কিংবা অন্যান্য সরঞ্জামাদি আসে না।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও