প্রভাত স্পোর্টস : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) হঠাৎ করেই আলোচনার টেবিলে জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেটারদের ব্যবহৃত ব্যাটের সাইজ বা আকৃতি। সাধারণত ম্যাচে ব্যবহৃত ব্যাটের সাইজ নির্ধারিত রয়েছে। এর বেশি হলে তা অগ্রহণযোগ্য। তেমনি ‘গেজ টেস্টে’ পাস করতে পারেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার সুনীল নারিন ও এনরিখ নরকিয়া। সে কারণে আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে এই দুজনের ব্যাটই বদলাতে হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) মুল্লানপুরে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচের এই ঘটনা ঘটে। ম্যাচটিতে পাঞ্জাবের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কলকাতার বেশ কয়েকজন ব্যাটারের ব্যাটের সাইজ পরীক্ষা করেন রিজার্ভ আম্পায়ার সাইয়েদ খালিদ। সেই পরীক্ষায় ফেল করেন নারিন ও নরকিয়া। ব্যাটের পুরুত্ব ঠিক ছিল না নারিনের, যা নিয়ে তাকে আম্পায়ার খালিদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায়।
নারিনের ব্যাট পরীক্ষার সময় তার পাশে দাঁড়ানো অঙ্ক্রুশ রঘুবংশীর ব্যাটের মাপে অবশ্য কোনো খুঁত পাননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে কলকাতার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন নরকিয়া ক্রিজে আসেন, তখনই ফের তার ব্যাটের সাইজ মাপেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার। যে কারণে ওই সময় কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। পরে রহমানউল্লাহ গুরবাজ তার জন্য কয়েকটি ব্যাট নিয়ে এলে, সেখান থেকে নেওয়া ব্যাটে আর নরকিয়াকে অসুবিধায় পড়তে হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী- ক্রিকেট ব্যাটের সামনের অংশ চওড়ায় ১০.৭৯ সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না। আর পুরুত্ব হতে হবে সর্বোচ্চ ৬.৭ সেন্টিমিটার। ব্যাটের প্রান্তের প্রস্থ ৪ সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া যাবে না। আর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৯৬.৪ সেন্টিমিটার। এদিকে, নারিন-নরকিয়ারা ব্যাট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ার ম্যাচটিতে লজ্জার নজির গড়েছে কলকাতা। তাদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে যায়। সেই লক্ষ্য তাড়ায় কলকাতা অলআউট হয় ৯৫ রানে। যা আইপিএলে সবচেয়ে কম রানের বিপরীতে হারের রেকর্ড।