প্রভাত সংবাদদাতা, কালীগঞ্জ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন কমে যাচ্ছে তিলের আবাদ। জলবায়ু পরিবর্তন, চাষে আগ্রহের অভাব এবং লাভজনক বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ তিল চাষ বাড়াতে বিভিন্ন প্রণোদনা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চলতি বছর কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩ হাজার ২০০ জন কৃষক ৪৩৫ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ করেছেন। কৃষকদের উৎসাহ দিতে প্রণোদনার আওতায় দেওয়া হয়েছে সার ও বীজ।
কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মহেশ্বরচাদা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, বর্ষায় তিলগাছ মরে যায়। আবার ভুট্টা আবাদ শুরু হলে তিল চাষে আর মন বসে না। ভুট্টার দাম ভালো পাওয়া যায়, তাই তিলের চেয়ে সেটাই লাভজনক।
কোলা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কৃষক কাজী এমদাদুল হক জানান, ‘বর্ষায় তিলগাছের গোড়ায় একটুখানি পানি জমলে মারা যায়। এ ছাড়া নিচু জমিতে তিলের চাষ ভালো হয় না। বর্তমানে কৃষকরা লাভজনক ভুট্টা ও সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ায় তিল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।’ তবে তিল চাষ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, ‘চলতি বছর ৫০০ জন কৃষককে জনপ্রতি এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। কৃষক সমাবেশ করে সচেতনতাও বাড়ানো হচ্ছে। বিগত তিন-চার বছরের তুলনায় এবার তিলের আবাদ কিছুটা বেড়েছে।’