• মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

রংপুরে অপরিবর্তিত সবজির দাম, আলুতে স্বস্তি

প্রভাত রিপোর্ট / ৭ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

প্রভাত সংবাদদাতা, রংপুর: রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। ৫০ টাকার নিচে মিলছে না অধিকাংশ সবজি। কেবল আলুতেই স্বস্তি মিলছে ক্রেতাদের। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে, চাল, ডাল, মাছ ও মাংসের দাম। মঙ্গলবার (৬ মে) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই কেজিপ্রতি চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, টমেটো ২০-২৫ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ঝিংগা ৫০-৫৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৩০-৩৫, সজনে দাম কমে ১৩০-১৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৫৫ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১২০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা ও লেবু ১০-১৫ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-১৮ টাকা, শিল আলু ২৫-৩০ টাকা, ঝাউ আলু ২৫-৩০ টাকা, দেশি সাদা আলু ২০-২৫ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২০-২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারে সবজি কিনতে আসা গুড়াতিপাড়ার ওয়াহেদ মিয়া বলেন, বাজারে কেবল আলুই সস্তা। এছাড়া কম দামে কোনো সবজি মিলছে না।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন মিয়া বলেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এই মৌসুমে সবজির দাম একটু চড়া থাকে।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১৬০-১৭০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি সোনালি মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ২৬০-২৭০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৪২-৪৪ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, ছোলাবুট ১১০-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আগের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৮০-৮৫ টাকা, জিরাশাইল ৭৩-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৯০-৯৫ টাকা এবং নাজিরশাইলের দাম কমে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও