• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম

পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন না গাইবান্ধার কৃষকরা

প্রভাত রিপোর্ট / ৪৯ বার
আপডেট : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

মো. নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা : ব্লাস্ট রোগ স্থানীয়ভাবে যাকে বলা হয় কারেন্ট পোকা। আর এই পোকার আক্রমণ থেকে বোরো ক্ষেতের ফসল রক্ষা করতে পারছেন না গাইবান্ধার কৃষকরা। চোখের সামনে কষ্টের ফসল ধানের শীষ চিটা হয়ে মরে যাচ্ছে। ফসল বাঁচাতে স্থানীয় দোকান থেকে সংগ্রহ করা ওষুধ-কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল মিলছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলায় এবার ১ লাখ ২৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এখন মাঠে মাঠে বাতাসের সঙ্গে দুলছে বোরো ধানের শিষ, দুলছে চাষির স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে নেক ব্লাস্ট। ধান পাকার সময়ে ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়ে যাচ্ছে কৃষকের কষ্টের ফসল। মাঠের দিকে দূর থেকে তাকালে পাকা ধান মনে হলেও বাস্তবে তা নয়, পাতা ধূসর রঙ ধারণ করে সাদা হয়ে যাচ্ছে আধা পাকা ধানের শীষ। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন বোরো ক্ষেত। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার চাপাদহ গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোঃ আঃ সামাদ ধার করে নিজের ও বর্গা নেওয়া ৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। আবাদও ভালো হয়েছে। থোকা থোকা ধানের শীষে ভরে উঠেছে তার জমি। পাকতে শুরু করেছে ধান। কিন্তু ধান পাকার আগেই ব্লাস্ট রোগে শীষ চিটা হয়ে মরে যাচ্ছে। কষ্টের ফসল নষ্ট হতে দেখে জমিতে এসে কান্না করা ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না তিনি। এদিকে একই অবস্থা ওই গ্রামের কৃষক সুজার। কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে বার বার ওষুধ ছিটিয়েও রক্ষা করতে পারছেন না তার জমি।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও