• সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর : শ্রম উপদেষ্টা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি সাময়িক স্থগিত কালও নগর ভবনের সামনে অবস্থান করবেন ইশরাক সমর্থকরা শেখ পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর পৌনে ২ লাখ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ : প্রেস সচিব নাজিরপুরে ঘুর্ণিঝড় পুর্বাভাস ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সভা অনুষ্ঠিত দেশ অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যারা একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত‍্যাগ করতে হবে: ইশরাক হোসেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলো ব্রিটেন নকলায় পলিন কসমেটিক অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্ট সিলগালা বিশ্বরেকর্ড গড়ে শাকিলের এভারেস্ট জয়

প্রতিভাবান ফুটবলার ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে এবার নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র

প্রভাত রিপোর্ট / ৪ বার
আপডেট : সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

প্রভাত স্পোর্টস: দরিদ্র এক পরিবারের ছেলে প্রতিভাবান ফুটবলার। বল পায়ে দৌড়াতে দৌড়াতে জিতেছে ইউরোপ। একাধিকবার। হয়েছেন ফিফার ‘বেস্ট’। কিন্তু গায়ের রং কালো বলে শুনতে হয় গালমন্দও। মাঠের মতো গ্যালারি সঙ্গে সেই লড়াইয়েও একবিন্দু ছাড় দেয় না ছেলেটি। পর্দায় মানুষের শূন্য থেকে সুবিশাল হয়ে ওঠার এমন গল্প সবার বরাবরই পছন্দের। কারণ, মানুষ বাঁচে আশায়, প্রেরণায়। নেটফ্লিক্সের ‘ভিনি জুনিয়র’ অথবা ‘বাইলা ভিনি’ (নাচো ভিনি) তথ্যচিত্রে এই প্রেরণাটুকুই নেই। তা ছাড়া সব আছে। সাও গনসালোয় রাস্তার দেয়ালে বল মেরে ফিরতি বলে ড্রিবলিং শেখা থেকে ফ্লামেঙ্গো, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল জাতীয় দল, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ…শুধু প্রাণটুকুই যেন নেই! কিছু ভিডিও, ভিনিসিয়ুসের পরিবার ও বন্ধুবর্গ, রিয়াল সতীর্থ, কোচ—বিভিন্ন সময়ে ভিনিকে নিয়ে তাঁদের কথামালা এবং সিংহভাগ সময়ে বর্ণবাদ ইস্যুই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। আর ভিনির নিজের আত্মকথন তো আছেই। দেখে মনে হয়, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিডিও নিয়ে তা সম্পাদনার কাজটি ভালোভাবে করতে পারলে বুঝি এমন তথ্যচিত্র বানানো সম্ভব! খেলাধুলার তারকাদের জীবন নিয়ে বানানো তথ্যচিত্রে খেলোয়াড়ই কেন্দ্রবিন্দু, ভিনির তথ্যচিত্রে তা খুব ভালোভাবে মানা হলেও সবকিছুই যেন ভাসা ভাসা। নেই গভীর কোনো ডুব। এখন পর্যন্ত তাঁর গোটা ক্যারিয়ারই ভাসা ভাসা কথামালা ও ভিডিওতে সাজানো, কিন্তু নেই সাও গনসালোর ‘স্ট্রিট ফুটবল’কে বার্নাব্যু পর্যন্ত নিয়ে আসার শিকড়ের সুলুকসন্ধান। তবে একেবারে যে কিছু নেই, তা–ও নয়। ক্লাবের সাপ্তাহিক নির্দেশনা মেনে ভিনির বাড়ির শেফ তলেতলে খাবারে কী মেশান, সেটার বিবরণ আছে। ভিনির বিলাসবহুল বাড়ির ভেতরে সুইমিংপুল, সেলুন, ডাইনিং থেকে বাড়ির বাইরের ‘লুক’—এসব ঘুরেফিরে এসেছে অনেকবার।
ভিডিও ক্লিপের ফাঁকে ফাঁকে সবার কথা শুনে নতুন কিছু জানার সুযোগ খুব কম। মেস্তায়ায় ‘বানর, বানর’ বলে গ্যালারির চিৎকার, ব্রিজের মাঝে ভিনির জার্সি পরানো একটি কুশপুত্তলিকার ফাঁসির ছবি ছাড়া বাকি সব শুনে ও দেখে প্রশ্ন জাগতে পারে, নতুন কী জানলাম?
তথ্যচিত্রের শুরুতে ভিনি বলছেন, রিয়ালকে নিজের ঘরের চেয়েও তাঁর আপন মনে হয়। একটু এগোনোর পর বলছেন, ফ্লামেঙ্গোয় খেলা তাঁর শৈশবের স্বপ্ন এবং একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর। সম্পাদনা নিয়ে ভ্রুকুটি জাগতেই পারে। কারণ আরও আছে। তথ্যচিত্রের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পে ধারাবাহিকতার অভাব। অন্য প্রসঙ্গ চলে এসেছে হুটহাট। তবে বর্ণবাদ ইস্যুর অবস্থান জোরালো। প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে অন্তত অর্ধেক সময়জুড়ে এই ইস্যুর বিরুদ্ধে ভিনির চলমান যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। যা দেখতে দেখতে মনে হতে পারে, এখানে ভিনির গল্প কোথায়?
মানে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তিদের শূন্য থেকে সুবিশাল হয়ে ওঠার পেছনে যেমন খেলার দক্ষতা, অনুশীলন এবং মনস্তত্ত্বের গল্প থাকে, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল স্টাইলের গন্ধ থাকে, সেসব আসেনি। ভিনির গল্পকে যদি এক পাতিল জ্বাল দেওয়া সর পড়া দুধ হিসেবে ধরা হয়, তাহলে এমিলিও দমিঙ্গোজ ও আন্দ্রুচা ওয়াডিংটনের এই তথ্যচিত্র শুধু সরটুকু পর্যন্তই যেতে পেরেছে। দুধের আসল স্বাদটাই নেই! ১৫ মে তথ্যচিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভ্যালেন্সিয়া ভিনির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। লা লিগার ক্লাবটি মনে করে, এই তথ্যচিত্রে তাদের সমর্থকদের বর্ণবাদী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অবশ্য এর চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার আছে এই তথ্যচিত্রে।
কালো হওয়ায় স্প্যানিশ পুলিশের হয়রানির বিবরণ আছে ভিনির এক বন্ধুর মুখে। সব মিলিয়ে ভিনির সাফল্য ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধের বিবরণই বেশি। শিরোনামে ভিনির নাচের কথা বলা হলেও ভেতরে তাঁর নাচুনে ফুটবলের শিকড় হদিস না পাওয়ায় তথ্যচিত্রটি আসলে ‘অতি অল্প হইল…।’


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও