প্রভাত রিপোর্ট : সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়াকে দেখে মনে হয়েছে বাড়তি কোনও চাপ নিচ্ছেন না। এমনিতে তাকে সব সময় আত্মবিশ্বাসী লাগে। কাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে ফুটে উঠলো সেই আত্মবিশ্বাস।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে দুই দলের সামনেই ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষে ওঠার হাতছানি । গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র দিয়ে বাছাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। আর প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে সিঙ্গাপুর। এই গ্রুপে চার দলেরই সমান ১ পয়েন্ট করে। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর আগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে ১-১ ও ২০১৫ সালে ২-১ ব্যবধানে হার। তবে আনঅফিসিয়ালি ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে খেলে ঢাকায় আসার সময় সিঙ্গাপুরে গিয়ে একবার জিতেছিল বাংলাদেশ । গোল করেছিলেন প্রয়াত নওশেরুজ্জামান। আবার পরের ম্যাচে তাদের যুব দলের কাছে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল!
এবার স্বাগতিকদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজেদের চিরচেনা পরিবেশে জয়ের পরিকল্পনাই করছেন, ‘আমরা ১০ জন দর্শকের সামনে খেলি বা ২০ লাখ দর্শকের সামনে, চাপ একই। আমাদের পারফর্ম করতে হবে। তো কত মানুষ কাল ম্যাচ খেলতে এলো, সেটা কোনও বিষয় নয়। দিনশেষে আমাদের জিততে হবে। দেশের জন্য আমাদের পারফর্ম করতে হবে। অবশ্যই আমরা দর্শকের উপস্থিতি অনুভব করবো। কিন্তু আমাদের জিততে হবে, পারফর্ম করতে হবে।’’
বাংলাদেশ দলের প্রতি প্রত্যাশা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। জামাল সেটা ভালো করেই জানেন, ‘এখন আমাদের নিয়ে প্রত্যাশাও অনেক বেশি। বিশেষ করে বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচের পর এই প্রত্যাশা বেড়েই চলেছে এবং আমাদের প্রত্যাশাও যে অনেক উঁচুতে, সেটা আমি মনে করি। তাই দেশের মানুষদের, সমর্থকদের, নিজেদের এবং পরিবারকেও দেখানোর সুযোগ আগামীকাল।’
সবশেষ প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুর ৩-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছে। সিঙ্গাপুরকে শক্তিশালী মানলেও জামাল দৃঢ় কণ্ঠেই বললেন,‘ আমরা দেখলাম সিঙ্গাপুর বল পজেশনে খুবই ভালো। তো এই জায়গাটায় তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে হবে। সিঙ্গাপুর বিল্ড-আপেও খুবই ভালো । সেট-পিসে তাদের আক্রমণভাগ ভালো, সেখানেও আমরা তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারি। তবে আমরা তাদের ধসিয়ে দিতে চাই।’