প্রভাত রিপোর্ট : সারাদেশে আজ বিক্ষোভ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে সর্তক অবস্থানে পুলিশ। এ দিন রাজধানীর প্রগতি সরণি, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা গেট এলাকায় পুলিশ সদস্যদের সর্তক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সদস্যরা এখানে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের বেশ কয়টি টিম এখানে কাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।
এদিকে সারাদেশে বিক্ষোভ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ঘোষণায় জানানো হয়, সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার (৩ আগস্ট) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার সারাদেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, প্রতিটি জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। এরপর থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন পালিত হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বেলা ১১টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে যমুনা গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন নর্দান, নর্থ সাউথ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল, স্টেট, গ্রিন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ও ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা।
একই সময়ে ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল, আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় কর্মসূচি পালন করবেন।
উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে আইইউবিএটি, বিইউএফটি, শান্তা মরিয়ম, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইউনিভার্সিটি, রাজউক কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল, মাইলস্টোন কলেজ, ট্রাস্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করবেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও পেশাজীবীদের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রভাত/টুর