প্রভাত ডেস্ক : অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল নিয়ে আসেন। তারপরই বাধে বিপত্তি। কারণ অনেকে জানেন না, তাদের (বিড়াল) কীভাবে এবং কতটা যত্ন নিতে হয়। অনেকের ধারণা, বিড়ালের যত্ন নেওয়া সোজা এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। বাড়িতে বিড়াল আনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি। তা না হলে, আপনার শখে করাত হতে পারে অবোলা প্রাণীটি। বিড়ালদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা থাকে খাবার-দাবার নিয়ে। জেনে নিন তাদের খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে।
এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, পোষ্য বিষয়ক পুষ্টিবিদ অঞ্জলি কালাচাঁদ জানান, আপনি যদি কর্মব্যস্ত হন। আর প্রতিদিন বাইরে হাঁটার জন্য সময় না পান। তবে আপনার সঙ্গী হিসেবে বিড়ালকে বেছে নিতেই পারেন। এই বিড়াল বাড়িতে আনার আগে আপনার জানালাগুলিতে অবশ্যই নেট বসিয়ে নিন। বিড়ালদের ক্ষেত্রে প্রায়শই কিছু জিনিস উপেক্ষা করা হয়, যেমন– তাদের কেউ কুকুরের মতো হাঁটতে নিয়ে যাই না। কিন্তু এটা তাদের জন্যও জরুরি, কারণ এতে শরীরের অনুশীলন হয় যা তাদের সুস্থ রাখে।
তিনি আরো জানান, একটি নতুন বিড়ালছানা বাড়িতে আনলে, তার আগের খাওয়া-দাওয়ার পরিবর্তন না করাই ভালো। বিড়ালছানাদের প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালদের তুলনায় ঘন ঘন খাওয়াতে হবে (৩ মাস পর্যন্ত)। বিড়ালছানাটিকে দিনে ৫ বার খাওয়াতে পারেন। ৩ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত বিড়ালছানাকে দিনে ৪ বার খাওয়ান। আর ৬ মাস বয়সে দিনে ৩ বার খাবার দিতে পারেন প্রিয় পোষ্যটিকে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালও দিনে ৩ বার খায়। তবে যদি আপনার বিড়ালটি সবরকম খাবার খেতে না চায়, তবে রুটিনের পরিবর্তন আনতে পারেন।
অঞ্জলি বলেন, ‘বিড়ালদের শুকনো খাবার কম দেওয়াই ভালো। কারণ, বিড়ালদের ফেলাইন মূত্রনালির রোগ কম পানি গ্রহণের কারণে ঘটে। আর বিড়ালরা প্রাকৃতিকভাবে পানির বাটির দিকে আকৃষ্ট হয় না। সাধারণত বিড়াল মাংসাশী হয়, তাই তাদের ডায়েটে স্টার্চি কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন হয় না। বিড়ালদের মধ্যে স্থূলত্ব এবং অন্যান্য জীবনযাত্রা সম্পর্কিত রোগ বৃদ্ধি পায়। তাই, যতটা সম্ভব বিড়ালকে তাজা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।’
তিনি আরো জানান, তাদের প্রোটিন হিসাবে মাংস, ফাইবারের জন্য সবজি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সামগ্রীর জন্য কিছু মাছ খাওয়াতে পারেন। এগুলো মূলত বিড়ালের জন্য আদর্শ খাবার। সাধারণ সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং অনাক্রম্যতার জন্য তাতে ক্যালসিয়াম হিসাবে কিছু হাড়ের গুঁড়া দিতে পারেন। ফ্যাটি অ্যাসিডও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের মাছের তেল, হেম্পসিড তেল বা নারকেল তেল পোষ্যকে দিতে পারেন।
প্রভাত/এআর