শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

২ স্টেশন বন্ধ রেখে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল

প্রকাশিত - ১৩ আগস্ট, ২০২৪   ০৮:৩৭ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট  : কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেল। দুটি স্টেশনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে স্বস্তির খবর, এক সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী শনিবার (১৭ আগস্ট) ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন বন্ধ রেখে যাত্রী বহন করবে আধুনিক এই গণপরিবহনটি। তবে এর আগে কিছু প্রস্তুতি রয়েছে মেট্রোরেলের।
মেট্রোরেল পরিচালন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, মেট্রোরেল পুনরায় চালুর জন্য প্রস্তুতি আছে। রবিবার (১১ আগস্ট) পুরো মেট্রোরেলের পথ হেঁটে পরীক্ষা করা হয়েছে কোথাও কোনও বাধা রয়েছে কিনা। ১২ আগস্ট মেট্রোরেল নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর আগামী শনিবার যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে। এছাড়া, মেট্রোরেলের জন্য চালু করা পুলিশের আলাদা ইউনিট এমআরটি পুলিশ সদস্যদেরও কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল। ওই দিন বিকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ কারণে মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে।
সেই সময় মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মেট্রোরেলের স্বাভাবিক চলাচলে সময় লাগবে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন ঠিক করতে এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া মেট্রোরেলের ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল তখন। তবে দুটি স্টেশন মেরামতে এত টাকা কেন লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে।
এদিকে গত ২২ জুলাই মেট্রোরেল লাইন-৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমটিসিএল। এই তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. জাকারিয়া বলেন, মেট্রোরেলের স্টেশনের যেসব জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত সেগুলো জাপান থেকে নিয়ে আসতে হবে। এগুলো সরবরাহ করেছে জাপানের নিপ্পন সিগন্যাল কোম্পানি। তাদের কাছে অর্ডার যাবে। তারা সেগুলো নতুন করে তৈরি করবে। কোয়ালিটি এনসিওর করবে। তার সঙ্গে মূল্য নির্ধারণ করা হবে... এগুলো সম্পন্ন করে, তারপর দেশে আনা হবে। এটায় সময় লাগবে। কতদিন লাগবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। আর এখনই মূল্য ধরা যাচ্ছে না। দুই বছর আগের আর এখনকার মূল্যে পার্থক্য থাকতে পারে। কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমডি স্যার এগুলো বলবেন। আমি তালিকা জমা দিচ্ছি।
জানা যায়, মেট্রোরেল মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের দুই প্রান্তে ছয়টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট কাটার মেশিন (ভেন্ডিং মেশিন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিকিট বিক্রির আটটি কাউন্টার ছিল, সেগুলোও ভাঙচুর করা হয়েছে। স্টেশনের দুদিক থেকেই যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ১৬টি স্বয়ংক্রিয় গেট নষ্ট করা হয়েছে। এদিকে কাজীপাড়া স্টেশনে চারটি টিকিট কাটার মেশিন, ছয়টি কাউন্টার এবং ছয়টি স্বয়ংক্রিয় গেট ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন